মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়া অর্থাৎ ব্রেক্সিট কার্যকরের ক্ষেত্রে জোটের একক বাজারের সুবিধা ধরে রাখার চেয়ে নাগরিকদের অবাধ প্রবেশ নিয়ন্ত্রণকেই প্রাধান্য দেবে যুক্তরাজ্য। সেই সঙ্গে ইউরোপিয়ান কাস্টমস ইউনিয়ন এবং ইউরোপিয়ান কোর্ট অব জাস্টিসের আনুগত্য ত্যাগ করবে। গত মঙ্গলবার লন্ডনের ল্যাঙ্কাস্টার হাউসে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিকদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ব্রেক্সিট কার্যকর নিয়ে তার সরকারের এ পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তেরেসা মে বলেন, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের চাহিদামাফিক স্বাধীন বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের জন্য ইইউর অধীনতা সম্পূর্ণ রূপে ত্যাগ করতে হবে। যুক্তরাজ্য ইইউর সদস্যপদ আধা ত্যাগ করবে আর আধা ধরে রাখবে এমন সুযোগ নেই। তবে সদস্যপদ পুরোপুরি ত্যাগ করলেও ইইউর সঙ্গে যথাসম্ভব মুক্ত বাণিজ্য এবং সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক অব্যাহত রাখার চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ইইউর বাকি ২৭ সদস্যরাষ্ট্রের উদ্দেশে বলেন, বিশ্বস্ত অংশীদার, সহযোগী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে আমাদের অব¯ান অব্যাহত থাকবে। বিতর্ক বাদ দিয়ে যুক্তরাজ্যকে একটি বৈশ্বিক উন্নয়নমুখী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তেরেসা মে। তিনি জানান, ইইউর সঙ্গে নতুন যে চুক্তি হবে, তা পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে। পার্লামেন্টে পাস হলেই কেবল তা বাস্তবায়িত হবে। সদস্য দেশগুলোর মধ্যে পুঁজি, পণ্য ও নাগরিকদের অবাধ বিচরণ ইইউর মূল নীতি। এ নীতির সুযোগে সদস্য দেশগুলো, বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত নবীন ও কম ধনী সদস্য দেশ থেকে যুক্তরাজ্যে অভিবাসীর সংখ্যা অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকে। কার্যত অভিবাসন আধিক্যে অতিষ্ঠ হয়েই যুক্তরাজ্যের ভোটারদের সংখ্যাগরিষ্ঠ গত বছরের ২৩ জুন অনুষ্ঠিত গণভোটে ইইউর সদস্যপদ ত্যাগের পক্ষে রায় দেয়। ইইউপন্থীরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন, সদস্যপদ পুরোপুরি ত্যাগ করলে যুক্তরাজ্য ইইউর একক বাজারের সুবিধা হারাবে। এতে দেশটির অর্থনীতি মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়বে। এ নিয়ে মন্ত্রিসভায়ও মতপার্থক্য রয়েছে। ইইউর নেতারাও বলেছেন, যুক্তরাজ্য পছন্দসই সুবিধাগুলো রাখবে, আর বাকিটা ত্যাগ করবে, তা হতে দেওয়া হবে না। দীর্ঘ ছয় মাস এ নিয়ে নানা বিতর্কের পর তেরেসা মে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, সদস্যপদ পুরোপুরি ত্যাগের পথেই হাঁটছে যুক্তরাজ্য। ইউরো নিইজ, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।