মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহীরা রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিতব্য শান্তি আলোচনায় অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। ছয় বছর ধরে চলে আসা সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ বন্ধে এটিকে বড় পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকার ও বিদ্রোহীদের প্রতিনিধি ছাড়াও শান্তি আলোচনায় রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন। ২০ জানুয়ারি ক্ষমতায় আসতে যাওয়া ট্রাম্প প্রশাসনকেও আলোচনায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আগামী ২৩ জানুয়ারি শান্তি আলোচনা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদ্রোহী সংগঠন জয়েশ আল-ইসলাম-এর অন্যতম প্রধান নেতা এবং হাই নেগোসিয়েশন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আলৌশ শান্তি আলোচনায় বিদ্রোহীদের অংশ নেওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেন, ‘সকল বিদ্রোহী গ্রুপই যাচ্ছে আস্তানা। এতে সকলেরই সমর্থন রয়েছে।’ সিরিয়ার শাসক এবং তার মিত্রদের রক্তাক্ত খেলা বন্ধের একটি প্রক্রিয়া হলো আস্তানা। আমরা এই ক্রমাগত অপরাধ বন্ধ করতে চাই।’ তবে বিদ্রোহীদের বার্তা সংস্থা শাম নেটওয়ার্ক সোমবার জানিয়েছে, কয়েকটি বিদ্রোহী গ্রুপ শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছে না। এর মধ্যে রয়েছে আহরার আল-শাম, যাদের একটা বৃহৎ অংশ সরকারি বাহিনীর সঙ্গে এখনও যুদ্ধ করছে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন জানিয়েছেন, ‘আস্তানায় শান্তি আলোচনার আগে আমরা অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করতে চাই। আমরা রাশিয়াকে বলেছি, তারা যেন সিরিয়ার ক্ষমতাসীনদের দিকে লক্ষ্য রাখে। দেশজুড়ে বেশিরভাগ অপরাধ ক্ষমতাসীনরাই করেছে। আমরা বিদ্রোহীদেরও সহযোগিতার মানসিকতা ধারণ করার জন্য বলেছি। শান্তি আলোচনায় ‘সবকিছু’ নিয়ে কথা বলতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে আগেই জানিয়েছেন সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ। এমনকি তার প্রেসিডেন্ট পদে থাকা না থাকার প্রশ্নে আলোচনা করতেও প্রস্তুত আছেন বলে জানান তিনি। উল্লেখ্য, পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে রাশিয়া ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ২০১৬ সালের ২৯ ডিসেম্বর থেকে সিরিয়া জুড়ে অস্ত্রবিরতির ব্যাপারে সম্মত হয় আসাদ সরকার ও সিরিয়ার বিদ্রোহী গ্রুপগুলো। ৩০ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে সিরিয়া জুড়ে এ অস্ত্রবিরতি কার্যকর হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস), আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট জাবাথ ফাতেহ আল-শাম এবং কুর্দি ওয়াইপিজি বিদ্রোহীরা ছাড়া বাকি পক্ষগুলো এ অস্ত্রবিরতি অন্তর্ভুক্ত। সূত্র : এএফপি, দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।