Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

নতুন অধ্যায়ের দিকে মার্কিন-রুশ বন্ধুত্ব

প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১২:০৮ এএম, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭

ইনকিলাব ডেস্ক : সব জল্পনা-কল্পনা, আন্দোলনে উপেক্ষা করেই ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দায়িত্ব গ্রহণের কয়েক সপ্তাহ পরই প্রথম বিদেশ সফরে আইসল্যান্ডে যাবেন ট্রাম্প। এ সময় ট্রাম্পের জয়ের যার সবচেয়ে বড় অবদান রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন ট্রাম্প। একটি ব্রিটিশ দৈনিক ‘সানডে টাইমস’ এমনটাই দাবি করেছে। তবে এ বিষয়ে রাশিয়া কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কেউই নিশ্চিত করেনি। তারা এ খরবকে শতভাগ মিথ্যা দাবি করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, মিত্রর সঙ্গে প্রথম বৈঠক করা স্বাভাবিক। আর এর মধ্যদিয়ে দীর্ঘদিন উত্তেজনায় থাকা মার্কিন-রুশ সম্পর্ক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। পত্রিকাটি জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখোমুখি হওয়ার আগেই ট্রাম্প রাশিয়া ইস্যুতে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদ নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ক্রেমলিনের সহযোগিতা পাওয়া গেলে রাশিয়ার ওপরে থাকা মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতে পারে। তার এ বক্তব্যই নতুন সূচনার ইঙ্গিত দি”েছ। কূটনীতিকদের মতে, আইসল্যান্ডের রাজধানী রিকজাভিকে ১৯৮৬ সালে স্নায়ু যুদ্ধের চুক্তি হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান ও রুশ প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচভের। পুরনো সেই স্মৃতি ফিরিয়ে আনতেই ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক করছেন সেখানে। তবে কোনো দেশই এ  বিষয়ে মুখ খোলেনি। ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের স্থান নিয়ে সম্ভাব্য নাম হিসেবে রিকজাভিকের নামটাই উঠে আসছে। ব্রিটিশ ওই পত্রিকার দাবি, রুশ-মার্কিন সম্পর্ক নতুন অধ্যায়ের সূচনার চেষ্টা করা হবে এই বৈঠকে। যার মধ্যে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আলোচনাও হতে পারে। রাশিয়ার সঙ্গে বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের সুসম্পর্ক এখন সবাই জানা কথা। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রুশ হ্যাকিংয়ের অভিযোগ তাতে কতটা প্রভাব ফেলেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রথমে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ নাকচ করে দেন ট্রাম্প। এ বিষয়ে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে তার মতপার্থক্য আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত রুশ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞাও চাপিয়ে দেয় ওবামা প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য মার্কিন গোয়েন্দারা নির্বাচনে রুশ প্রশাসন হস্তক্ষেপের প্রমাণ আছে। এ নিয়ে ট্রাম্পও কম যায় না। তিনি এ অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন। এছাড়া হ্যাকিংয়ের ঘটনায় পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা না চাপানোয় ফের তার প্রশংসাও করেছেন ট্রাম্প। তবে এসব বিষয়ে নিয়ে ট্রাম্প কতটা চিন্তিত তা বোঝা যায়নি। লন্ডনে থাকা রুশ দূতাবাসে এক বৈঠকের কথা উল্লেখ করে পত্রিকাটি বলেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক হচ্ছেই। তবে রুশ প্রশাসনেও এ বৈঠক নিয়ে যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে। ট্রাম্পের এক উপদেষ্টা বলেছেন, ‘গুরুত্বের কেন্দ্র বিন্দুতে থাকতে চান পুতিন নিজেই। এরই সঙ্গে ট্রাম্পের সমর্থনও চান।’ সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ