পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার রায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপথগামী সদস্যদের জন্য একটি বড় ম্যাসেজ। এই মেসেজে বুঝতে হবে কেউ বাদ যাবে না। যারা দুষ্কর্ম করবে, তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হোক, কিংবা যেই হোক। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নেই সেটাই ম্যাসেজ, সেটা ক্লিয়ার।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে রায়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনা সংগঠিত হওয়ার পর এর নৃশংস ও নির্মমতায় আমরা হতবাক হয়েছিলাম। আমার প্রতিক্রিয়া আপনাদের মতোই। আমাদের তদন্তকারী বাহিনী, নিরাপত্তা বাহিনী সঠিকভাবেই চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য চার্জশিট দিতে পেরেছিল। সেজন্য একটি জাতি ও ভিকটিম যারা তারা সঠিক বিচার পেয়েছে।
নারায়গঞ্জের সাত খুনের মামলায় নূর হোসেন ও র্যাব-১১ এর সাবেক কমান্ডিং অফিসার (সিও) লে. কর্নেল সাঈদ তারেকসহ ২৬ জনের ফাঁসি ও বাকি ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন এই রায় দেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কিংবা অন্য যে কেউই হোক না কেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, অপরাধ করলে কেউ পার পাবে না, সবারই বিচার হবে। এ রায়ের মাধ্যমে এই মেসেজই পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ভয়াবহ এ ঘটনার পর হত্যাকা-ের নৃশংসতা ও নির্মমতায় আমরা হতবাক হয়েছিলাম। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তকারী কর্মকর্তারা সঠিকভাবেই জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য চার্জশিট দিতে পেরেছিল। আর এ কারণেই ঘটনার ভিকটিম ও জাতি এ ঘটনার সঠিক বিচার পেয়েছেন।
প্রতিষ্ঠান হিসেবে র্যাবের ওপর দায় বর্তায় কিনা, এমন এক প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘রায়ের মাধ্যমে র্যাব খাটো হয়নি, বরং আরো শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
রায়ের কারণে র্যাবের কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন আনা প্রয়োজন আছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ-িতরা সবাই বিপথগামী ছিল। অপকর্ম করতে কোনো বাহিনীতে তো উৎসাহিত করা হয় না বরং নিরুৎসাহিত করা হয়। তারাই তাদের অপকর্মের জন্য দায়ী। তারা সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেরাই বিপথগামী হয়েছেন। কাজেই কোনো আইন পরিবর্তনের দরকার নেই, প্রশ্নও আসে না। তাছাড়া আইনের ফাঁক-ফোকর দিয়ে যদি তারা বের হয়ে যেত তবে আইন পরিবর্তনের প্রশ্ন আসত।
আলোচিত এ মামলার পলাতক আসামিদের ধরার ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, তাদের খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা রয়েছে। তারা কোথায় আছে তারও খোঁজ নেয়া হচ্ছে। দেশে এলেই তাদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
র্যাব প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর দায় তাদের উপর আসে কিনাÑ একজন সাংবাদিক জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিষ্ঠান হিসেবে তো কোনো প্রশ্নই আসে না। প্রতিষ্ঠান দায়দায়িত্ব নেবে কেন? প্রতিষ্ঠান যদি দায়দায়িত্ব নিত তবে এর (বিচারের) বিরুদ্ধে দাঁড়াত। যারা দ-িত হয়েছেন তাদের সমস্ত সঠিক তথ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে দিয়েছে। এজন্য এগুলো ধরার সুযোগ হয়েছে, চার্জশিট দেয়ার জন্য। তাদের দুষ্কর্মগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।
এ রায়ের পর র্যাবের কার্যক্রমে কোনো পরিবর্তন আনা প্রয়োজন মনে করেন কীনা- একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘র্যাবের এতগুলো সদস্য ছিল, এরা সবাই বিপথগামী। কোনো আইনই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের উৎসাহিত করে না এসব কর্মকা- করতে বরং নিরুৎসাহিত করে। তারা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা নিজেরাই বিপথগামী হয়েছে। কাজেই কোনো আইন পরিবর্তনের কোন প্রশ্ন আসে না।
আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে যদি তারা বের হয়ে যেত তবে আইন পরিবর্তনের প্রশ্ন আসত। পলাতক আসামিদের খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা রয়েছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীমকে অপহরণ করা হয়। তিনদিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
নজরুলের শ্বশুর শহীদুল অভিযোগ তোলেন সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন অর্থ দিয়ে র্যাবের মাধ্যমে তার জামাতাকে হত্যা করিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।