Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক জোন মিরসরাইতে

| প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

উন্নয়নে এ বছর ব্যয় হবে ২ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা
চট্টগ্রাম ব্যুরো : শুধু বাংলাদেশে নয়, উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ইকোনমিক জোন হবে মিরসরাই স্পেশাল ইকোনমিক জোন। ৩০ হাজার একর জমিতে গড়ে উঠা এই জোনে হাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। জোনের জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে ফোর লেন সংযোগ সড়ক হচ্ছে। সঙ্গে মেরিন ড্রাইভ সড়ক-যেটা কক্সবাজার পর্যন্ত যাচ্ছে সেটি এই জোনের সঙ্গে সংযুক্ত হচ্ছে।
প্রায় ১২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে জোন ঘেঁষে সমুদ্র উপকূলে পানি উন্নয়ন বোর্ড, নৌবাহিনী ও চায়না হারবার সাড়ে ১৮ কিলোমিটারের আরেকটি মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করছে। এছাড়া ২৯২ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ইকোনমিক জোনে গ্যাস পাইপ লাইন স্থাপন করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে জোনের অবকাঠামো উন্নয়নে এ বছরই ব্যয় করা হবে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।
গতকাল (রোববার) বন্দর নগরীর রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত ‘ইকোনমিক জোনগুলোত বিনোয়গ আকৃষ্টকরণ বিষয়ক সেমিনারে’ এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়। সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিন ও চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে সরকার সারা দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন প্রতিষ্ঠার যে উদ্যোগ নিয়েছে তার আশানুরূপ ফল পেতে বিনিয়োগকারীদের প্রণোদনা ও কর অবকাশ সুবিধা দেয়া প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি এবার উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার। তার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) সৃষ্টি। বাংলাদেশের কৃষিকাজ হয় না, কোনো কাজে আসে না এমন জমিগুলোতে একশ’টি ইকোনমিক জোন স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই ইকোনমিক জোন স্থাপনের কাজ চলছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মালয়েশিয়া বা অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্রগুলোর মতো বিনোয়গে আকৃষ্ট করতে জমির দাম কমানো হয়েছে। মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ দেশকে এগিয়ে নিতে বিনোয়গকারীদের এক রিংগিতে এক একর জায়গা দিয়েছিলেন। আমাদের বেজার চেয়ারম্যানও শেষ সভায় প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে বললে তিনি ইকোনমিক জোন স্থাপন হওয়া এলাকাগুলোতে বিনিয়োগকারীদের জন্য জমির দাম ২৫ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছেন। তবে বাংলাদেশ এখনও আমেরিকা বা অন্যান্য উন্নত রাষ্ট্রের পর্যায়ে যায়নি। তাই দেশি-বেদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে ইনসেনটিভ ও টেক্স হলিডে দিতে হবে।
তিনি বলেন, দুর্গম এলাকাগুলো উন্নত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কক্সবাজারের সাবরাং এ ট্যুরিজম পার্ক করার কাজ চলছে। তবে এসবের পাশাপাশি আরও অনেক কিছু থাকা দরকার। যা ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করবে। নতুন যুগ যেটা চায় সেটাই করতে হবে।
পবন চৌধুরী মিরসরাই স্পেশাল ইকোনমিক জোনের অগ্রগতি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ওই জোনে কল-কারখানায় পানি সরবারহ নিশ্চিত করতে ফেনী নদীর দুটি শাখা নদী থেকে পাঁচটি সরোবর তৈরি করা হচ্ছে। যার প্রতিটি ১০০ থেকে ১২৬ একরের হবে। সেগুলোর নামকরণও ইতিমধ্যে করা হয়েছে। এ বছর শুধুমাত্র এই ইকোনমিক জোনেই সবমিলিয়ে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করা হবে বলে জানান বেজার চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, জোনে অবকাঠামোগত সুবিধা ছাড়াও অভ্যন্তরীণ যেসব সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলো সবগুলোই ফোর লেন হবে। তিনি বলেন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে হলে অবকাঠামোগত সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য আমরা ৪০০ কেবির বিদ্যুৎ লাইনও বসানো হচ্ছে। দেশে আরও একশ’টি এলাকায় এরকম অর্থনৈতিক জোন হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এসব জোনের আরও কয়েকটির অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে।



 

Show all comments
  • রুবেল ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১০:২৯ এএম says : 0
    দ্রুত এটা বাস্তবায়ন করা হোক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অর্থনৈতিক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ