Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাদারীপুরে গুদামে অবিক্রীত ১২ হাজার টন সার বিনষ্ট

| প্রকাশের সময় : ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : গুদামে সার সংরক্ষণের স্থান সংকুলান না হওয়ায় মাদারীপুর জেলার রাজৈর টেকেরহাট বন্দরে (বাংলাদেশ সার সংরক্ষণ) বিএফ’র গুদামে সৌদী আরব থেকে আমদানি করা ১২ হাজার টন ইউরিয়া সার বিক্রি না হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। আবার দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে সার জমাট বেঁধে যাওয়ায় সেগুলোকে বস্তা খুলে বের করে শ্রমিক দ্বারা অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে ভাঙা হচ্ছে। এতে সরকারকে আরো লোকসান গুনতে হচ্ছে। এ কারণে চলতি মৌসুমে গুদামে সার বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ইরি-বোরো মৌসুমে সরকার সৌদী আরব থেকে ইউরিয়া সার আমদানি করে। যার মধ্যে মাদারীপুর-গোপালগঞ্জের আওতাভুক্ত টেকেরহাট বাফার গুদামে ৪৪ হাজার টন ইউরিয়া সার ডিলারদের মাধ্যমে বিক্রির জন্য বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু ওই মৌসুমে ৩২ হাজার টন সার বিক্রি হয়। ১২ হাজার টন ইউরিয়া সার বিক্রি না হওয়ায় বাফার গুদামে প্রায় এক বছর খোলা আকাশের নিচে ফেলে রাখা হয়। এতে সারের গুণগত মানের ক্ষতি সাধন হয়। সারগুলো দীর্ঘদিন খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকার কারণে বস্তার চাপে সারগুলো পাথরের মতো জমাট বেঁধে গেছে। এতে সারের গুণগত মান হ্রাস পেয়েছে বলে ধারণা কৃষিবিদদের। চলতি মৌসুমে সারগুলো বিক্রির জন্য গুদামের ভেতরেই জমাট হওয়া সার শ্রমিক দ্বারা ভাঙ্গা হচ্ছে। এতে সরকারকে আরো লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে টেকেরহাট সার গুদামের উপ-ব্যবস্থাপক মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, “দীর্ঘদিন ইউরিয়া সার পড়ে থাকায় বস্তায় জমাট বেঁধে গেছে। তাই ডিলারদের কাছে সারগুলো সহজে বিক্রি করার জন্যই মূলত বস্তা খুলে শ্রমিক দিয়ে তা ভেঙে ভেঙে জমাট ছড়ানো হচ্ছে। গত বছর বরাদ্দকৃত সার বিক্রি করতে না পারার কারণে চলতি মৌসুমে সারের বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে আনা হয়েছে। চলতি বছর ৪০ হাজার ৬৩০ মেট্রিক টন সার বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৩ হাজার ৩৭০ মেট্রিক টন কম”। তবে তিনি সারের গুণগত মানের ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।
এ ব্যাপারে রাজৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান বলেন, খোলা আকাশের নিচে পড়ে নষ্ট হওয়া সার যদি কৃষকরা জমিতে ব্যবহার করে তাহলে কৃষকদের ফসলী জমিতে তেমন গুণগতমানের ফসল পাওয়া যাবে না।



 

Show all comments
  • Munna ১৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১০:৩১ এএম says : 0
    এর জন্য দায়ি কারা ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাদারীপুর

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ