মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রকে সামরিক সংঘাতের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ট্যাবলয়েড পত্রিকা দ্য গ্লোবাল টাইমস। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী-মনোনীত রেক্স টিলারসন দক্ষিণ চীন সাগরে অবরোধের আহ্বান জানানোর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে চীনের এমন কড়া মন্তব্য প্রকাশ পেয়েছে ওই পত্রিকাটিতে। রেক্স টিলারসনকে কাদা খোঁড়াখুঁড়ির সঙ্গে যুক্ত বলে অভিহিত করা হয়েছে। এক্সোন মবিলের প্রধান নির্বাহী হচ্ছেন টিলারসন। খবরে বলা হয়, দক্ষিণ চীন সাগরে অবরোধের আহ্বান জানানোর পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়েছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে তারা পারস্পরিক সম্মান ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র লু কাং লু বলেছেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক হলো কোনো সংঘাত নয়, যুদ্ধ নয় এমন ভিত্তির ওপরে। একই সঙ্গে পারস্পরিক সুবিধা ও উভয়ে বিজয়ী-বিজয়ী সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে এ সম্পর্ক। উল্লেখ্য, উত্তেজনা থাকা সত্ত্বেও সম্পদে ভরপুর দক্ষিণ চীন সাগর দিয়ে প্রতি বছর ৫ লাখ কোটি ডলারের পণ্য চালান হয়। ওই অঞ্চলে দ্বীপগুলোর ওপর অধিকার দাবি করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও চীনের মধ্যে। এরই মধ্যে সেখানে তৈরি করা হয়েছে সাতটি কৃত্রিম দ্বীপ। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ক্ষমতার মেয়াদে দক্ষিণ চীন সমুদ্র পথে অবাধ নৌ চলাচলের সুবিধার জন্য আকাশ ও জলপথে প্রহরার আয়োজন করা হয়েছে। এতে চীনে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। তারা সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র নৌবাহিনীর একটি ড্রোন জব্দ করে। পানির নিচ দিয়ে চলা ওই ড্রোন আটকের ঘটনায় বেশ উত্তেজনা দেখা দেয়। এর কয়েক দিন পরেই তা ফেরত দেয় চীন। চীন ওই অঞ্চলে যে কৃত্রিম দ্বীপ সৃষ্টি করেছে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র যদি অবরোধ দেয়-ই তাহলে তা নিয়ে আরেক দফা উত্তেজনা সৃষ্টি হতে পারে। দ্য গ্লোবাল টাইমস তার সম্পাদকীয়তে বলেছে, দক্ষিণ চীন সাগরে একচেটিয়া ক্ষমতার আধিপত্য দেখার শক্তি মোটেও নেই যুক্তরাষ্ট্রের। তারা যদি একটি বড় পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে তার ভূখ- থেকে প্রত্যাহার করাতে চায় জোর করে তাহলে তাদের উচিত পারমাণবিক কৌশলে ঝালাই করা। যদি ট্রাম্পের কূটনৈতিক টিম চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বর্তমান সম্পর্ককে নতুন রূপ দেয়ার চেষ্টা করে তার চেয়ে ভাল হবে দু’পক্ষকে সামরিক সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নেয়া। চীনের যথেষ্ট দৃঢ়তা ও শক্তি আছে যাতে তার (টিলারসন) কাদা খোঁড়াখুঁড়ির উদ্যোগ সফল হবে না। ওয়াশিংটন যদি দক্ষিণ চীন সাগরে যুদ্ধ না চায় তাহলে অন্য কোনো উপায়ে চীনকে তার দ্বীপ থেকে হটিয়ে দেয়ার চিন্তা হবে বোকামি। ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।