মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : গান্ধীকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করে তোপের মুখে পড়লেন হরিয়ানার মন্ত্রী। খাদি ইন্ডিয়ার ক্যালেন্ডারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি নিয়ে গত শুক্রবার বিস্তর সমালোচনা হলেও পরের দিনই হরিয়ানার মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা অনিল ভিজ দাবি করেন, গান্ধীর ছবির বদলে মোদির ছবি দিয়ে ভালই হয়েছে। পরে অবশ্য তড়িঘড়ি সেই মন্তব্য থেকে পিছু হটতে হয় অনিলকে। টুইট করে তিনি বলেন, গান্ধীকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছিলাম, সেটা একেবারেই ব্যক্তিগত অভিমত। কারও ভাবাবেগে আঘাত করতে চাইনি। গত শনিবার প্রথমে অবশ্য অনিল ভিজকে বলতে শোনা গিয়েছিল, গান্ধীর নাম জড়ানোর পর থেকেই খাদির আর তেমন উন্নতি হয়নি। নোটেও গান্ধীর ছবি। তাই তার দামও পড়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে নোট থেকে তার ছবি সরিয়ে দেওয়া উচিত। ক্যালেন্ডারে গান্ধির জায়গায় মোদির ছবি দিয়ে ভালই হয়েছে। মোদি অনেক বড় ব্র্যান্ড। যে দিন থেকে তিনি খাদির সঙ্গে যোগ দিয়েছেন, ওদের বিক্রি ১৪ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। অনিলের এই মন্তব্য নিয়েই শুরু হয় সমালোচনা। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, বিজেপি বরাবরই ঘৃণার রাজনীতি করে এসেছে। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তো গান্ধির স্মৃতি মুছে ফেলার চেষ্টায় রয়েছেন। দলের সহসভাপতি রাহুল গান্ধী টুইটারে বলেন, হিটলার এবং মুসোলিনিও খুব শক্তিশালী ব্র্যান্ড ছিলেন। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, ব্রিটিশ শাসক যা করে গিয়েছে, বিজেপি তা-ই করছে। গান্ধীই ভারতের সব। বিজেপি নেতামন্ত্রীদের কাছ থেকেই একমাত্র এমন আপত্তিকর মন্তব্য আশা করা যায়। গান্ধির পরিবর্তে মোদির চরকা কাটার ছবির প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গের পথেও নামেন কংগ্রেস কর্মীরা। এ দিন নিউটাউনে তারা মোদির কুশপুতুল পোড়ান। অবিলম্বে খাদির ক্যালেন্ডার, ডায়েরি থেকে মোদির ছবি সরানোর দাবি জানিয়ে সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য প্রতিবাদ-সভায় বলেন, চরকা কাটার সঙ্গে গান্ধির নাম ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। মোদি যা করেছেন, তা শুধু গান্ধির অপমান নয়, ভারতবাসীর অপমান। ভিজের মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রেখে বিজেপি নেতা শ্রীকান্ত শর্মা বলেছেন, বিজেপি এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করছে। এটা তার ব্যক্তিগত মত। দলের অবস্থান নয়। গান্ধি আমাদের অনুপ্রেরণা। এবিপি, পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।