মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নবনির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সহায়ক হলে তার বিরুদ্ধে অবরোধ তুলে নেয়া হবে। তবে অন্তত কিছু দিনের জন্য এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া, চীন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, ‘এক চীন নীতি’সহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে চীনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাথে এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্প এ কথা বলেন।
শুক্রবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, একটা সময় পর্যন্ত রাশিয়ার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা থাকবে। তবে পরে তা প্রত্যাহার করা হতে পারে, যদি রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধ অথবা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সহযোগিতা করে।
তিনি বলেন, যদি আপনি সফল হতে চান এবং রাশিয়া আমাদের সহযোগিতা করে এবং কেউ যদি সত্যিই ভালো কিছু করে, তাহলে কেন কেউ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে? ট্রাম্প বলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। এ ছাড়া এই সাক্ষাতের ব্যবস্থা রাশিয়ার প্রেসিডেন্টই করবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
ওবামার প্রশাসনের শেষ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে হ্যাকিংয়ের অভিযোগ এনে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। চীন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বেইজিং তার মুদ্রা ও বাণিজ্য নীতির পরিবর্তন ঘটালে আমরাও ‘এক চীন’ নীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবো। ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাতকারে ট্রাম্প আরও বলেন, আমি বুঝতে পারি, রাশিয়া ও চীনা নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে সাক্ষাত করবেন এবং সেটা হবে আমার জন্য খুব ভালো একটা ব্যাপার।
সাংবাদিকরা জানতে চান, কয়েক দশক ধরে তাইওয়ান নিয়ে চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একটা বিরূপ সম্পর্ক রয়েছে, এ অবস্থায় ‘এক চীন’ নীতিকে কি ভাবে সমর্থন করবেন? উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘এক চীন’ নীতিসহ ছীনের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা চলছে। এ ব্যাপারেও সুষ্ঠু সমাধান আসবে বলে তিনি মনে করেন।
নির্বাচনে জয়ের পর তাইওয়ানের নেতার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলায় চীন ট্রাম্পের ওপর বেজায় ক্ষেপে গিয়েছিলো। তাদের মধ্যে ‘এক চীন’ নীতি নিয়েও কথা হয়েছিলো। যুক্তরাষ্ট্র ‘এক চীন নীতি অবলম্বন করে চলে এবং মনে করে তাইওয়ান চীনেরই একটি অংশ।
ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, ক্ষমতা গ্রহণের পর তিনি চীনা মুদ্রাকে সমমানে নামিয়ে আনবেন। তবে সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, হোয়াইট হাউজে গিয়েই তিনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন না, আগে তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি বলেন, তারা নিশ্চিতভাবে নিজ স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়, কিন্তু আমি সেটি করতে চাচ্ছি না।
ট্রাম্প বলেন, আমাদের কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে এখন প্রতিযোগিতায় যেতে পারছে না, কারণ আমাদের মুদ্রা শক্তিশালী এবং এতেই আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। ট্রাম্পের এ মন্তব্যের ব্যাপারে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রকে ফোন করে তাৎক্ষণিক কোন জবাব পাওয়া যায়নি এবং মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিক কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। রয়টার্স, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।