মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে করুণ পরিণতি ভোগ করতে হবে। বায়ুদূষণজনিত কারণে মৃত্যুবরণকারী মানুষের সংখ্যা হতে পারে তিনগুণ। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ও পরিবেশ বিষয়ক সংগঠন গ্রিনপিচের নতুন এক গবেষণা রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। খবরে বলা হয়, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের মতো উন্নত দেশগুলো তাদের কয়লাচালিত বিদ্যুত কেন্দ্রের সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। ফলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমন হবে বর্তমানের তিনগুণ। এমন বৃদ্ধি ঘটবে বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া ও ভিয়েতনাম থেকে। ইন্দোনেশিয়ায় যে পরিমাণ কয়লা ব্যবহার করা হয তার ৪০ গুণ ব্যবহার করা হয় চীনে। এ কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা আইইএ।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সাল থেকে ২০৩৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা শতকরা ৮৩ ভাগ বৃদ্ধি পাবে বলে ধরা হয়েছে। এই চাহিদা বৃদ্ধির কারণ শহর অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শহরমুখী মানুষ ছুটে আসা। নবায়নযোগ্য জ্বালানির পরিবর্তে এসব মানুষের বিদ্যুত চাহিদা মেটানোর জন্য নজর দেয়া হচ্ছে কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর। এর ফলে এ অঞ্চলে মারাত্মক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি দেখা দেবে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, শুধু ভারতেই কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে বছরে মারা যায় এক লাখের মতো মানুষ। অনলাইন সিএনএনে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির শ্যানন কোপলিটজ। তিনি বলেছেন, চীন ও ভারতের বায়ুদূষণ ব্যাপকভাবে বৈজ্ঞানিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশিয়ার বাকি দেশগুলোতে কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের কি প্রভাব পড়বে তা গবেষণার অধীনে রয়েছে। তিনি বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় উদীয়মান দেশগুলোতে কয়লার ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। এতে এ অঞ্চলে বায়ু ও জনস্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে। গবেষণা রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, এ অঞ্চলে কয়লা চালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে যে কার্বন নির্গমন হচ্ছে তাতে প্রতি বছর প্রায় ২০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। কিন্তু এ অঞ্চলে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো সচল হলে ২০৩০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা দাঁড়াতে পারে ৭০ হাজার। ইন্দোনেশিয়ায় এমন বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে ১৪৭টি। তা এ সময়ে দ্বিগুণ হয়ে হতে পারে ৩২৩টি। মিয়ানমারে বর্তমানে এমন বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে ১৬টি। ওই সময়ের মধ্যে তা ৫ গুণেরও বেশি হতে পারে। সিএনএন, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।