মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে টার্গেট করে মোদির ধাঁচেই বুথে সংগঠন গুছানোর কাজে নামলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। তিনি বলেছেন, মোদির স্টাইলে বুথ জয় করতে হবে। আর এই কাজ নজরদারির দায়িত্ব দিয়েছেন সনিয়া গান্ধির রাজনৈতিক সচিব আহমেদ পটেলকে। দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কংগ্রেস নেতাদের হাতে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে আন্দোলনের আগামী এক মাসের কর্মসূচি তুলে দিয়েছেন রাহুল। রাহুল দলের নেতাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, শুধু মাত্র আন্দোলনের জন্য আন্দোলন নয়। মোদি-বিরোধী আন্দোলনকে সামনে রেখে দলের বুথ স্তর পর্যন্ত সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তবেই মোদির দলের সঙ্গে টক্কর দেওয়া যাবে।
কিছু দিন আগেই দিল্লিতে বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার দলের নেতাদের বলেছিলেন, বুথ জয় করলেই ভোট জয় হবে। মোদির সেনাপতি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের এযাবত সাফল্যের অন্যতম কৌশলই বুধ জয়। ঠিক একই ভাবে মোদি-বিরোধী আন্দোলনকে সামনে রেখে বিজেপির ধাঁচে বুথকে আরও পোক্ত করার কাজে হাত দিলেন রাহুল। গত বুধবারের ‘জনবেদনা সম্মেলনে’র পর রাহুল গান্ধি সারা ভারতের কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে ফের দেখা করেন এবং তাদের সমস্যা শোনেন। পরে তার দেওয়া নতুন কর্মসূচি রূপায়ণ করার জন্য বিভিন্ন রাজ্যের পর্যবেক্ষকরাও বৈঠকে বসেন।
এই বৈঠকে বলা হয় শুধুমাত্র কয়েকটি শহর বা জেলা সদরে টেলিভিশন ক্যামেরা ডেকে আন্দোলন নয়। একেবারে তৃণমূল স্তর পর্যন্ত কমিটি গঠন করে কী ভাবে প্রত্যন্ত এলাকায় রাহুল গান্ধির আওয়াজ পৌঁছে দেওয়া যায়, তা সুনিশ্চিত করতে হবে। কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, নোট বাতিল নিয়ে তো আজ অনেক দলের নেতারাই সরব হচ্ছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হোক কিংবা অরবিন্দ কেজরিয়াল কিন্তু কংগ্রেসের মতো দেশজুড়ে সংগঠন কারও নেই। একমাত্র কংগ্রেসই পারে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারীকা পর্যন্ত রাহুলের স্বরটি পৌঁছে দিতে। এর জন্য আহমেদ পটেল গত শুক্রবার রাজ্যে রাজ্যে বুথ স্তর পর্যন্ত কমিটি গঠন করে দেন কিন্তু কংগ্রেসে আবার গোষ্ঠীদ্বন্ধ ও নেতৃত্বের কোন্দল কম নেই। রাহুলের ঘোষিত কর্মসূচি রূপায়ণে কোন রাজ্যে কোন কোন নেতা বাদ সাধছেন তাদের তালিকাও নেওয়া হয়। ঠিক হয়েছে, আহমেদ পটেল, অস্কার ফার্নান্ডেজের মতো নেতারা এর পর তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। এই তালিকায় বেশ কিছু বড় মাপের নেতাও রয়েছেন, যারা অতীতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন। প্রয়োজনে তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবেন রাহুল। দলের মতে, লোকসভা নির্বাচনে বিপর্যয়ের পর নোট বাতিলের ঘটনা কংগ্রেসকে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দিয়েছে। একই অস্ত্রে যেমন মোদিও ঘায়েল হতে পারেন, তেমনই জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে আম-জনতার পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের পুরনো ভোট-ব্যাঙ্ক ফিরে পেতে পারে কংগ্রেস। আর সে জন্য কাউকে ভয় না-পাওয়ার মন্ত্রটি কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের কানে পুরে দিয়েছেন রাহুল। এবিপি, পিটিআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।