Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধার দেয়ার পদ্ধতি চালু চীনা স্কুলে

| প্রকাশের সময় : ১৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক: বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর কাছেই পরীক্ষা চিন্তার একটি বিষয়। পেছনের সারির শিক্ষার্থীদের কাছে তো রীতিমতো আতঙ্ক। এই চাপ কমাতে চীনের একটি স্কুল শিক্ষার্থীদের নম্বর ধার দেওয়ার পদ্ধতি চালু করেছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এই পদ্ধতির কারণে শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন পরীক্ষায় পাস করতে পারবে, অন্যদিকে পরবর্তী পরীক্ষায় ধার নেওয়া নম্বর শোধ দিতে লেখাপড়ায় আরও মনোযোগী হবে। চীনের শিক্ষাব্যবস্থা এখনো অধিক চাপের পরীক্ষাব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। এমন অবস্থায় দেশটির চিয়াংসু প্রদেশের নানচিং শহরে অবস্থিত নানচিং নাম্বার ওয়ান হাইস্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নম্বর ধার দেওয়ার পদ্ধতি চালু করেছে।  দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোয় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, গত বছরের নভেম্বর মাসে ৪৯ জন শিক্ষার্থীর জন্য স্কুলটি প্রথমবারের মতো নম্বর ধারের প্রচলন ঘটনায়। ধারের বিষয়টি ব্যবস্থাপনার জন্য স্কুলটি নম্বর ব্যাংক-এরও ব্যবস্থা করেছে। ওই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৩ জন সুযোগটি নেয় সে সময়। এই পদ্ধতিতে ১৩ শিক্ষার্থীকে ধার নেওয়া নম্বর পরবর্তী পরীক্ষায় শোধ দিতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানায়, শিক্ষার্থীরা ধার দ্রুত শোধ না করলে তাদের এ জন্য সুদ দিতে হবে। কাজেই নিজের পাঠ্য বিষয়ে তারা আরও বেশি মনোযোগী হবে। সত্যিকারের ব্যাংকের মতো এই নম্বর ব্যাংকও শিক্ষার্থীদের আচরণ, উপস্থিতি এবং শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কারের দায়িত্ব কতটুকু পালন করা হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে নম্বর ধার দেয়। একইভাবে যেসব শিক্ষার্থী ধার নেওয়া নম্বর ফেরত দিতে বারবার ব্যর্থ হবে, তাদের কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য শিক্ষকের অনুমোদন সাপেক্ষে শিক্ষার্থীর সহপাঠী তার ধার শোধ করতে পারবে। খুশিয়াসু নামে এক শিক্ষার্থী স্থানীয় সংবাদপত্র ইয়াংচি ইভনিং পেপারকে বলে, অসুস্থতার কারণে আমি কয়েকটি ক্লাসে উপস্থিত থাকতে পারিনি। আমি ভূগোল পরীক্ষায়ও ভালো করতে পারিনি। পরিস্থিতি সামাল দিতে নম্বর ব্যাংক আমাকে সহায়তা করেছে। স্কুলের পরিচালক খা কাইয়েন চীনের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, চীনের প্রচলিত পরীক্ষাপদ্ধতি পরিবর্তন এবং অভিনব পদ্ধতি প্রণয়নের লক্ষ্যে তাঁর স্কুল এই নম্বর ব্যাংকের প্রচলন ঘটিয়েছে। তিনি বলেন, আগের পরীক্ষাগুলোয় নম্বরই সবকিছু হয়ে দাঁড়িয়েছিল এবং প্রতিটা পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ওপর বিপুল চাপের সৃষ্টি হতো। বিবিসি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ