Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জকিগঞ্জে সুপারি ব্যবসায়ীরা বিপাকে প্রতিকার চেয়ে আবেদন

| প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

জকিগঞ্জ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা : জকিগঞ্জের উৎপাদিত সুপারি রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর সময় বিজিবি কর্তৃক আটক হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন জকিগঞ্জের সুপারি চাষী ও ব্যবসায়ীরা। গত ৩০ ডিসেম্বর রংপুরের কুড়িগ্রামে চালানের সময় প্রায় ৩ লক্ষাধিক টাকার সুপারি এবং ৬ জানুয়ারি প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার সুপারি ভারতীয় সুপারি বলে আটক করে বিজিবি। পর-পর সুপারির চালান আটক হওয়ায় সুপারি ব্যবসায়ীরা চালান বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে লক্ষ-লক্ষ টাকার সুপারি চালানের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে গুদামে। অপরদিকে সুপারি ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করে দেওয়ায় মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন সুপারি চাষিরাও। বাজারে এনে সুপারি বিক্রয় করতে না পেরে আবার বাড়িতে ফেরত নিতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয় সুপারি চাষিরা। জকিগঞ্জ থেকে ক্রয়কৃত সুপারি দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর সময় বিজিবি কর্তৃক ভারতীয় সুপারি বলে অবৈধভাবে আটক করার প্রতিকার চেয়ে অর্থমন্ত্রী বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা তাদের আটককৃত সুপারি ফিরিয়ে দেওয়ারও দাবি জানান। ব্যবসায়ী জমির উদ্দিন, এনাম উদ্দিন, এবাদ আহমদ, আলতাবুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বৈধভাবে সুপারি ক্রয় করে দেশের অন্যান্য স্থানে চালান করলে এটা কিভাবে ভারতীয় হয়। অপরদিকে শাহগলী, কালিগঞ্জ, বাবুর বাজার, শরীফগঞ্জ, মাদ্রাসা বাজার ও জকিগঞ্জ বাজারের ইজারাদারগণ গতকাল বৃহস্পতিবার জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক-পৃথক আবেদন করেছেন। তারা উল্লেখ করেন, জকিগঞ্জে প্রতি বছর প্রায় ৩ কোটি টাকার সুপারি ক্রয়-বিক্রয় হয়। বর্তমান মৌসুমে প্রায় সবক’টি বাজারের টোল আদায়ের প্রধান উৎস সুপারি। সুপারি ব্যবসা বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ী, ইজারাদারসহ হাজার-হাজার শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। তারা সুপারি ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সংশ্লিষ্ট সকলের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন। জকিগঞ্জ বাজারের ইজারাদার রুহুল আমিন, মোস্তাক আহমদ ও জামিল আহমদ জানান- জকিগঞ্জের একেকটি বাজারের ইজারা মূল্য ২০/২২ লক্ষ টাকা। এর বেশিরভাগ টোল আদায় হয় সুপারি ক্রয়-বিক্রয় থেকে। বাজারে সুপারি ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ থাকলে আমাদের ইজারা মূল্য পরিশোধ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়বে।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মোবাশশেরুল ইসলাম জানান, জকিগঞ্জে প্রচুর পরিমাণ সুপারি উৎপাদিত হয়। এসব উৎপাদিত সুপারি জকিগঞ্জ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে না পাঠালে এলাকার সুপারি চাষীরা পথে বসতে হবে। তিনি আরো বলেন- সুপারি চালানের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশমত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আবেদন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ