বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গত ২৩ আগষ্ট ২০১৭সালে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের যুবদলের তৎকালীন যুগ্ম-আহবায়ক হুদা মোহাম্মদ আলমকে কথিত বন্দুক যুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগ এনে তখনকার জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ’সহ ৪ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার আবেদন করেছেন নিহতের স্ত্রী খুরশিদা বেগম পুষ্প।
রোববার দুপুরে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদনটি জমা দেন খুরশিদা বেগম পুষ্প। পুলিশি নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ সালের ১৫ (২) (৩) ধারায় দায়ের করা এ মামলায় পুলিশ সুপার ছাড়াও আসামি করা হয়েছে তৎকালিন বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান শেখ, বেগমগঞ্জ থানার ওসি মো. সাজেদুর রহমান সাজিদ ও এসআই জসিম উদ্দিনকে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগকারীর মামলার আবেদনটি আদালত গ্রহণ করলেও তা এখনও আমলে নেওয়া হয়নি। একইসাথে আদালতে আবেদনকারির বক্তব্যও গ্রহণ করেছেন জেলা ও দায়রা জজ নিলুফার সুলতানা। তবে আদালত এখনও কোন আদেশ দেন নি। বাদিপক্ষে আদালতে মামলার আবেদন করেন সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মাহফুজুর রহমান ইলিয়াস ও এডভোকেট সাইফুর রহমান প্রামানিক।
বাদি পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মাহফুজুর রহমান ইলিয়াস বলেন, যুবদল নেতা হুদা মোহাম্মদ আলম নিজ দলের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কারণে একটি কুচক্রিমহল পুলিশের এ চার কর্মকর্তার সাথে যোগসাজস করে হুদা মোহাম্মদ আলককে হত্যা করে। কিন্তু পুলিশের এ কর্মকর্তারা হত্যা পরবর্তীতে দীর্ঘদিন ধরে নোয়াখালীতে কর্মরত থাকার কারনে নিহত হুদার পরিবার আইনগত কোন ব্যবস্থান নেওয়ার সাহস করেন নি। বর্তমানে পুলিশের ওই কর্মকর্তারা বদলি হয়ে যাওয়ায় স্বামী হত্যার ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেছেন। মামলার বাদি ন্যায় বিচার পাবেন এমনটা আশা করছেন এ আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, নিহত মো. আলম বেগমগঞ্জের ধীতপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে এবং আলাইয়াপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন। গত ২০১৭ সালের ২৩ আগস্ট নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে হুদা মোহাম্মদ আলম (৩২) নামে ওই যুবদল নেতার মৃত্যু হয়। সেই সময় পুলিশ দাবি করেছিল গুলি বিনিময়ের ঘটনায় কর্মরত পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত এবং ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, একটি পাইপগান, তিনটি ছোরা, পাঁচটি রড ও গ্রিল কাটার যন্ত্র জব্দ করা হয়েছিল। আলমের বিরুদ্ধে থানায় ১০টি ডাকাতি মামলা ছিলো। সে তখনকার চন্দ্রগঞ্জের সন্ত্রাসী জিসান বাহিনীর একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
ঘটনার পর পুলিশ জানিয়েছিলো, বুধবার (২৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামি ‘ডাকাত আলমকে’ গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতে অস্ত্র উদ্ধারে দাসপাড়া গ্রামের দাসেগো বাগানে অভিযান চালায় পুলিশ। ওইস্থানে পৌঁছলে আলমের সহযোগিরা পুলিশের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এসময় পুলিশের হেফাজত থেকে পালাতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন ডাকাত আলম। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলমকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের পরিবার অভিযোগ ছিলো, ওই বছরের ২২ আগস্ট সকালে সাদা পোশাকের পুলিশ আলমকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং পরদিন বুধবার রাতে তাকে কথিত বন্দুক যুদ্ধে হত্যা করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।