বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেত্রকোণা পৌরসভার গজিনপুর এলাকার ভূক্তভোগী কয়েকটি পরিবারের লোকজন শাহ্জাহান চক্রের দাপট ও হয়রানীর হাত থেকে মুক্তি চেয়ে মহা-পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বরাবরে এক লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মহা-পুলিশ পরিদর্শক বরাবরে লিখিত অভিযোগে বলা হয়, নেত্রকোণা পৌর এলাকার গজিনপুর গ্রামের মৃত নিদু মিয়ার ছেলে শাহ্জাহান মিয়া তার আত্মীয় স্বজন ও অনুগত লোকজন নিয়ে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্টসহ দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও অন্যের জমি বে-দখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। মাতা সূত্রে প্রাপ্ত অসহায় বেদেনা আক্তারের গজিনপুর পুখিরা মৌজাস্থ প্রধান সড়কের পাশে প্রায় কোটি টাকা মূল্যের ভুমি বে-আইনী ভাবে শাহ্জাহান চক্র বে-দখলের অপচেষ্ঠা চালাচ্ছে। অভিযোগে জানা যায়, ১৯৯৮ সনের ৬ অক্টোবরে অবিবাহিত অছিম উদ্দিনের মৃত্যুর পর তার পরিত্যাজ্য সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকার আদরের নেছাকে রেখে যান। মরহুম অছিম উদ্দিন জীবিত অবস্থায় মোক্তারের মা নামে এক বোন ও অপর এক ভাই মোঃ রহিম উদ্দিন মৃত্যু বরণ করেন। এতে মুসলিম উত্তরাধীকারী আইন অনুযায়ী মোক্তারের মা ও মোহাম্মদ রহিম উদ্দিন মৃত হওয়ায় তাদের পুত্র গণ অছিম উদ্দিনের কোন সহায়-সম্পত্তি প্রাপ্ত হবেন না। এরই মধ্যে মুসলিম আইনের বিধান অনুযায়ী নেত্রকোণা পৌরসভা কার্যালয় হতে ওয়ারিশান সনদপত্র এবং নেত্রকোণা জজ কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার স্বাক্ষরিত ফরায়াজ অনুযায়ী আদরের নেছা’র সন্তানেরা গজিনপুর পুখিরা মৌজার ১৫ শতাংশ ভূমির জমা খারিজ করত: সরকারের খাজনা করাদি পরিশোধ করে তা’তে তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করে আসছেন। দুঃখজনক হলে সত্য যে, মৃত মোক্তারের মা’র সন্তান শাহ্জাহান উক্ত ভূমির মালিকানা প্রাপ্ত না হওয়ার কারণে হীন স্বার্থে সত্য গোপন করে মাতা মোক্তারের মা ও মামা রহিম উদ্দিনকে জীবিত দেখিয়ে আদালতে এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
অপরদিকে আদরের নেছা’র মেয়ে বেদেনা আক্তার বাদী হয়ে শাহজাহান গংদের বিরুদ্ধে নেত্রকোণা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মোকাদ্দমা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক দুই পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তি তর্ক শুনে উভয় পক্ষকেই শান্তি-শৃংখলা ও স্থীতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশনা দেন। শাহ্জাহান চক্র আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে প্রথম দফায় গত ১৫ ডিসেম্বরের মারাত্মক অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উক্ত ভুমি জোর আমলে বে-দখল করতে ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে একটি ঘর ভেঙ্গে সমস্ত মালামাল পিক-আপ ভ্যানে করে লুটে নিয়ে যায়। ভূমি বিরোধের জেরে শাহ্জাহান চক্র দ্বিতীয় দফায় গত ১৪ জানুয়ারী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেদেনা আক্তারের বাসায় অনধিকার প্রবেশ করে বেদেনা আক্তারকে, ছেলে সুমন মিয়া ও মোহন মিয়াকে, আমিন খানের স্ত্রী ইতি আক্তারকে, নূরে আলমের স্ত্রী বীথি আক্তারকে বেদড়ক মারপিট করে মারাত্মক ভাবে আহত এবং মেয়েদেরকে শ্লীলতাহানি করে। এ সময় হামলাকারীরা নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। শাহজাহান ও তার সহযোগীদের ভয়ে কেউ মুখ খুলে কিছু বলার সাহস পাচ্ছে না। এমতাবস্থায় ভূক্তভোগীর পরিবার ও সাধারণ জনগনের প্রত্যাশা, অবিলম্বে অভিযুক্ত শাহ্জাহানসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমাজে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসন যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহন করবেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ্জাহান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনীত সকল প্রকার অভিযোগ সঠিক বা সত্য নয়। মাতাসূত্রে ভুমির মালিকানা নিয়ে দু’ পক্ষের মধ্যে মামলা চলছে, আদালত যে রায় দিবে, আমি তা মেনে নিব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।