নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
স্পোর্টস রিপোর্টার : জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবলে আবারও সেরার খেতাব জিতেছে টিম বিজেএমসি। এক্সিম ব্যাংক ২৭তম জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবল চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তুললো তারা। গতকাল শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল ষ্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের একপেশে ফাইনালে সহজ জয় পায় বিজেএমসিই। তারা ২৭-৯ গোলে বাংলাদেশ আনসারকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রথমার্ধে বিজয়ীরা ১২-৪ গোলে এগিয়ে ছিল। বিজেএমসির পক্ষে সুমি ও ফাল্গুনি ৬টি করে গোল করেন। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার পান চ্যাম্পিয়ন দলের শিল্পি বেগম। এর আগে একই মাঠে স্থান নির্ধারনী ম্যাচে পুলিশ ৩০-১১ গোলে ঢাকা জেলাকে হারিয়ে তৃতীয়স্থান পায়। ফাইনাল শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি। এ সময় হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সভাপতি একেএম নুরুল ফজল বুলবুল ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কোহিনুর উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় মহিলা হ্যান্ডবলে বরাবরই সেরা আনসার। ১৯৮৩ সালে শুরু হওয়া এ টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ শিরোপা গেছে তাদের ঘরেই। ২৭টি আসরের মধ্যে ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আনসার। শুধু তাই নয়, ১৯৮৪ থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত টানা ১১বার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের রেকর্ডটিও তাদের দখলেই। কিন্তু বেশ ক’বছর ধরে আনসার যেন উজ্জ্বলতা হারিয়ে ফেলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে মহিলা হ্যান্ডবলের যে কোন আসরে সব বাঁধা টপকে ফাইনালে বিজেএমসির মোকাবেলা করতেই মুখ থুবড়ে পড়তে হয় আনসারকে। সর্বশেষ ২০১৩ সালে বাংলাদেশ গেমসে শিরোপা জিতেছিল তারা। এরপরের কাহিনী বিজেএমসিরই। জাতীয় আসরের তারা ১০ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এবারেরটা নিয়ে টানা তিন আসরের চ্যাম্পিয়ন ট্রফিই শোভা পাচ্ছে বিজেএমসির শোকেসে। অবশ্য এর কারণও রয়েছে। বেশ ক’বছর ধরে বিজেএমসির অধিকাংশ খেলোয়াড়ই জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। ফলে শক্তিমত্তায় তারা অন্য যে কোন দলের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। বর্তমান জাতীয় দলের ১২ জন খেলোয়াড়ই বিজেএমসির। তাই তাদের খেলার গতি চ্যাম্পিয়নের মতোই। নতুন দায়িত্ব পেয়েই সাফল্যের দেখা পেলেন বিজেএমসির অধিনায়ক জলি খান। তাই তো তিনি উচ্ছসিত। জলির কথা, ‘আমরাই তো চ্যাম্পিয়ন হবো। দলের ১২জনই জাতীয় দলের খেলোয়াড়।’ তবে এতো সহজে জয় পাবো ভাবিনি। আনসার অনেক ভালো দল। কিন্তু কেন যে ব্যবধানটা বড় হলো তা অনেকেই বুঝেননি। ব্যবধানই বলে দেয় আমরা কতটা ভালো খেলেছি।’ সেরা খেলোয়াড় শিল্পির কথা, ‘এ আসরে জলি আমাদেরকে দারুন নেতৃত্ব দিয়েছে। আমিও সারপ্রাইজ পেয়েছি। ক্যারিয়ারে প্রথমবার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।