Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমলার শততম টেস্ট

| প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্পোর্টস ডেস্ক : ক্রিকেটে সময়ের সেরা তো বটেই, হাশিম আমলা দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে যায়গা করে নিয়েছেন অনেক আগেই। ২০০৪ সালে ২১ বছর বয়সে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া আমলা এখন টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের শততম ম্যাচের সামনে দাঁড়িয়ে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আজ থেকে শুরু হওয়া সিরিজের তৃতীয় টেস্টে যখন মাঠে নামবেন আমলা, একটা মাইলফলকই ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। আমলার ক্যারিয়ার বিশ্লেষণে দেখা যাবে শুধু একজন আফ্রিকান ক্রিকেটারই নয়, পুরো বিশ্ব ক্রিকেটেরই দূত তিনি।
১৬ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হাশিম আমলার। দক্ষিণ আফ্রিকার সব বয়স ভিত্তিক দলের হয়েই খেলেছেন তিনি। জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক ২০০৪ সালে ২১ বছর বয়সে, সাদা পোশাকের ক্রিকেটে। ভারতের বিপক্ষে ইডেন গার্ডেনের সেই অভিষেকে প্রথম ইনিংসে ২৪ রান এসেছিল আমলার ব্যাট থেকে, দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ২ রান। এরপর এখনও পর্যন্ত ৯৯ টেস্টে ৪৯.৪৫ গড়ে ৭৬৬৫ রান সংগ্রহ করেছেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। সেঞ্চুরি করেছেন ২৫টি, হাফ সেঞ্চুরি ৩১টি। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকান ট্রিপল সেঞ্চুরিয়ানও হাশিম আমলা। সাবেক অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ তার সম্পর্কে মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেন, ‘হাশিম আমলাকে ছাড়া এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট একবিন্দু পরিমাণও চিন্তা করা যায় না। তাকে ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট এগুতেই পারবে না।’
এই স্মিথের উত্তরসূরী হিসেবেই দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট দলের নেতৃত্বের জন্য প্রথম নামটি ছিল হাশিম আমলারই। দেশের হয়ে সব পর্যায়েই যে নেতৃত্ব দিয়ে গড়ে উঠেছিলেন তিনি! অনূর্ধ্ব-১৩, ১৪, ১৫, ১৭, ১৯ সবগুলো বয়সভিত্তিক দলে অধিনায়কত্ব করেছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাই এক সময় তার কাঁধেই প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব উঠবে এটা স্বাভাবিকই ছিল। আমলা নেতৃত্বও দিয়েছেন জাতীয় দলকে। তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য নয়। ২০১৩ সালে ওয়ানডে অধিনায়কের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বিনয়ের সঙ্গে। পরে অবশ্য টেস্ট দলের নেতৃত্বের ভার নেন। নিজ ইচ্ছেয় সরে দাঁড়ানোর আগে ১৪ টেস্টে আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ৪টি জয় ও সমান সংখ্যক ড্র’র বিপরীতে পরাজয় ৬টি। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৯ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে জয় ৪টিতে, পরাজয় ৫টি। ২০১১ সালে টি-টোয়েন্টিতে দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ২টি ম্যাচে। একটি জয়ের বিপরতীতে পরাজয় একটিতে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ