পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : দলে যারা প্যারাসাইট (পরগাছা) হিসেবে অনুপ্রবেশ করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের হুমকি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, ১১ জানুয়ারির পরে দলে অনুপ্রবেশকারী পরগাছাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, দলে দুই-একটা জামায়াত প্রবেশ বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এসব অনুপ্রবেশকারী পরগাছারা বিভিন্ন অপকর্ম করে যাতে শেখ হাসিনার সকল অর্জন প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আমরা এসব পরগাছাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। দলে শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ একটা বড় দল। ছিটেফোঁটা সমস্যা
থাকতেই পারে। যারা দলের প্যারাসাইট তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। ১১ জানুয়ারির পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি কর্মসূচি দিয়ে ঘরে বসে থাকে। তাদের নেতারা কেউ ঘর থেকে বের হন না। কর্মসূচি দিয়ে ঘরে বসে থাকলে কর্মী আসবে কোথায় থেকে। কর্মসূচি দিয়ে যারা ঘরে বসে থাকে তাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দিয়ে লাভ কি? তারা এখন পথহারা পথিক। যারা আন্দোলনে ব্যর্থ তারা নির্বাচনে জয়ী হতে পারে না।
তিনি বলেন, ব্যর্থতার হতাশায় বিএনপি এখন বেপরোয়া। মঈন খান ঘরে বসে বড় বড় কথা বলেন। তিনি কোনোদিন রাজপথে নেমেছেন? এই নেতারা কখনও রাজপথে নামে না। আওয়ামী লীগ বিরোধী বা সরকারে, সব সময় রাজপথে থাকে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ রাজপথের দল। ক্ষমতায় থাকলেও আমরা রাজপথে আছি, বিরোধী দলে থাকলেও রাজপথে থাকি। আন্দোলনে যারা সফল আগামী নির্বাচনে তারা বিজয়ী হবে।
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রের প্রসঙ্গে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী বলেন, যারা আন্দোলনে ব্যর্থ তারাই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতা মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে আমাদের বিজয়কে আরও সুসংগঠিত করা হবে। বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগুচ্ছে। উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে সমাদৃত।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রধান শত্রু সাম্প্রদায়িকতা। আমাদের আগামী দিনের শপথ হলো সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা এই সাম্প্রদায়িকতাকে প্রতিহত, প্রতিরোধ এবং মোকাবিলা করবো।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১০ জানুয়ারি বাঙালিদের জন্য খুবই তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় লাভ করলেও ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে এর পূর্ণতা পায়।এ সময় দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।