Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

শিগগির দেশে বড় হামলা হতে পারে

সহিংসতার আশঙ্কায় পুলিশ হয়তো বিএনপিকে জনসভার অনুমতি দেয়নি : ওবায়দুল কাদের

| প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : ডিএমপি হয়তো বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কোনো সহিংসতার আশঙ্কা করেছিল, তাই তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
গতকাল সোমবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জনসভার মঞ্চ পরিদর্শনে এসে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সমাবেশ নিয়ে সরকার দ্বৈতনীতি করছে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সমাবেশের অনুমতি দেয়া না দেয়া ঢাকা  মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিষয়। এখন তারা (ডিএমপি) নৈরাজ্যের (বিএনপির সমাবেশ ঘিরে) আভাস-ইঙ্গিত পেয়েছে কি না? আমার তো মনে হয় সে রকম কোনো বিষয় থেকে তারা অনুমতি দেয়নি। অতীতে দেখা গেছে বিএনপি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের নামে সহিংসতা করেছিল। এখানেও  সেরকম কিছু ছিল কি না সেটা ডিএমপি জানে। আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। আমরা (আওয়ামী লীগ) এখানে যারা আছি তারা জনসভার অনুমোদন দেয়ার কেউ না।   
তিনি বলেন, জাতীয় সম্মেলনের পরই এটাই আমাদের কোনো জনসভা, আর তাই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এখানে নীতিনির্ধারণীপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। একদিকে আমাদের উন্নয়নের মহাসড়কে অভিযাত্রা, আরেক দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে কিছু বাধা আছে। যেটা আসতে পারে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ থেকে। এ শক্তিকে প্রতিহত ও পরাজিত করার আহ্বানও তিনি আগামীকালের (আজ) বক্তব্যে করতে পারেন বলে আমি আশা করি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামীকালের (আজ) জনসভা নিয়ে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এখানে ঢাকা ও তার আশপাশ থেকে কয়েক লাখ মুজিবপ্রেমী লোকের স্বতঃস্ফূর্ত সমাগম হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম  মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এ কে এম এনামুল হক শামীম, মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য সম্পাদক আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আবদুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য মির্জা আজম, আনোয়ার হোসেন, মারুফা আক্তার পপি, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন প্রমুখ।
শিগগির দেশে বড় হামলা হতে পারে
এদিকে, দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ধারাবাহিক অভিযানে জঙ্গিরা দুর্বল হয়ে গেছেÑ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের পক্ষ থেকে এমন আশ্বাস দেয়া হলেও ওবায়দুল কাদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, শিগগির দেশে বড় হামলা হতে পারে।
গতকাল সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের পাশে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মনিরুজ্জামান বাদলের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে ওবায়দুল কাদের এ হুঁশিয়ারি দেন। বাদলের মৃত্যুর ২৫তম বার্ষিকীতে তাকে শ্রদ্ধা জানায় ছাত্রলীগ।
পুলিশ এবং র‌্যাবের শীর্ষ পর্যায় থেকে একাধিকবার বলা হয়েছে জঙ্গিদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাওয়ার পথে। তবে ওবায়দুল কাদের এ বক্তব্যে দ্বিমত পোষণ করে বলেন, হলি আর্টিজান ও শোলাকিয়ার মতো ঘটনা থেকে বাংলাদেশ এখনও ঠিকমতো বের হতে পারেনি। কারণ বিএনপি অপশক্তিকে প্রশ্রয় দিয়ে অপকর্মের মাধ্যমে দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চক্রান্ত চলছে বলেও সতর্ক করে দেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ভোটের রাজনীতিতে পরাজিত করতে না পেরে যেভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে; একইভাবে এখন শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তার কারণে তাকেও ভোটে হারানো যাবে না জেনে তাকেও হত্যার চক্রান্ত চলছে। তাই আমাদেরকে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
সম্প্রতি দলকে ভারী করতে পরগাছাদেরও ছাত্রলীগ সংগঠনে ভেড়াচ্ছে জানিয়ে এ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি। তিনি বলেন, অপশক্তি ও অপকর্মকারীদের দলে প্রশ্রয় দেবে না। তাদের প্রশ্রয় দিলে অপকর্ম বেড়ে যাবে। অপকর্মকারীদের ছাত্রলীগে জায়গা হবে না। তাদের দায় ছাত্রলীগ যেন না নেয়। এদের প্রশ্রয় দেবে না। ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
১৯৯১ সালের ৯ জানুয়ারি বিকালে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর একটি কর্মসূচি চলাকালে ঢাবির টিএসসি সংলগ্ন শহীদ মিলন চত্বরে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুজ্জামান বাদলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। বাদলের স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তিনি সব সময় এই নেতার শূন্যতা অনুভব করেন। বাদলের ন্যায় ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে গড়ে উঠতে হবে। দলের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে কাজ করতে হবে।
বাদলের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো: সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ