Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মাঠের লড়াইয়ে আ.লীগ এগিয়ে বিএনপিতে নীরবতা

প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

রেবা রহমান, যশোর থেকে : যশোরের ৮টি উপজেলার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হচ্ছে একটি উপজেলায়। সেটি হচ্ছে মনিরামপুর। এখানে ১৭টি ইউনিয়ন রয়েছে। তার মধ্যে আবার ১টি হরিহরনগর ইউনিয়নে নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটিতে মেয়াদ শেষ হতে কয়েকমাস বাকি। তাই বর্তমান চেয়ারম্যান চান মেয়াদ পূর্ণ করতে। নির্বাচন কমিশন অবশ্য ইতোমধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ঘোষণা করেছে। চেয়ারম্যান এজন্য আইনী লড়াইয়ের প্রস্ততি নিচ্ছেন। ফলে শেষ পর্যন্ত কি হয় তা বলা যাচ্ছে না। ইউনিয়নটিতে একাধিক প্রার্থী দলের মনোনয়নের জন্য দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ এগিয়ে। বিএনপি কিংবা অন্য কোন দলের প্রার্থীদের মধ্যে খুব বেশি প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বিএনপির একটি সূত্র বলেছে, তাদের দলের অবস্থা একটু খারাপ। তাই মনোনয়ন নিয়ে নতুন করে কোন সংকট সৃষ্টি হোক তা তারা চাচ্ছেন না। নতুন করে পালে হাওয়া লাগানো অনেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের টিকিট নিতে লবিং করছেন। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, দলের পরীক্ষিত নেতারা যারা ইউনিয়ন পলিটিক্স টিকিয়ে রেখেছেন কিংবা একাধিবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তাদের প্রাধান্য দেয়া হবে। আমাদের মনিরামপুর উপজেলা সংবাদদাতা জানান, সম্ভাব্য প্রার্থীরা দিন-রাত সমানতালেই ছুটছেন দলীয় নেতা এবং ভোটারদের কাছে। আওয়ামী লীগ দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ফুরফুরে মেজাজে দৌড়ঝাঁপ চলছে। আর বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা রয়েছেন নানা শংকায়। বিএনপি ও আওয়ামী লীগ দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে যারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে দলীয় হাইকমান্ড সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এমনটা কেউ করলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাই বিরেদ্রাহী প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা কম। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে যুব ও ছাত্রনেতাসহ নতুন মুখের সংখ্যা বেশি দেখা যাচ্ছে। এ বিষয়ে ভোটররাও বসে নেই প্রার্থীর ছড়াছড়ির মধ্য দিয়ে কাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে সার্বিক উন্নয়ন ঘটবে তার যোগ-বিয়োগ কষতে। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে ইচ্ছুক এমন যাদের নাম শুনা যাচ্ছে এবং কমবেশী মাঠে রয়েছেন তারা হলেন ১নং রোহিতা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কাদের বিশ্বাস, মোহর আলী, হাফিজ উদ্দীন ও আনছার আলী এবং বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। ২নং কাশিমনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রতীপ দাশ ও তৌহিদুর রহমান এবং বিএনপির আব্দুল আহাদ। ৩নং ভোজগাতী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আব্দুর রাজ্জাক ও শহিদুল ইসলাম এবং বিএনপির কওছার আলী ও ফিরোজ আহম্মেদ লাল্টু। ৪নং ঢাকুরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের এরশাদ আলী, দূর্গাপদ সিংহ, এড. বাবুল আক্তার লাল্টু, বাবলূ সিংহ, অসীত মজুমদার রাম, জূলফিকার আলী ভুট্টো ও সাজ্জাদ হোসেন এবং বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান জি,এম, মিজানুর রহমান। ৫নং হরিদাসকাটী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান নিরঞ্জন প্রসাদ বিশ্বাস, আ’লীগ নেতা ভঞ্জন পাড়ে, নিত্য কুমার, আলমগীর হোসেন লিটন ও স্বদেশ সরকার এবং বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম রেজাউল ইসলামের স্ত্রী শীরিনা আক্তার ও নবীরুজ্জামান আজাদ। ৬ নং মনিরামপুর সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাবেক ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান মিল্টন, অধ্যাপক নুরুল হক, মাস্টার আবুল হোসেন, শাহিদুল ইসলাম শাহিন ও ইয়াকুব আলী এবং বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান নিস্তার ফারুক। ৭নং খেদাপাড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার মুজিবর রহমান, আ’লীগ নেতা এরশাদ আলী, আমেনা বেগম ও আব্দুল আলীম জিন্নাহ এবং বিএনপির সামছুজ্জামান, হোসেন আলী, আলমগীর হোসেন ও মনছুর আলী। ৮নং হরিহরনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনিরুজ্জামান মুকুল, আব্দুল হক ঢালী, রিপন ধর, মাস্টার জহরুল, মহসিন কবির ও আবুল কালাম আজাদ এবং বিএনপির গাজী আঃ সাত্তার ৯নং ঝাঁপা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের স,ম, আলাউদ্দীন, শামসুল হক মন্টু, আবুল বাশার, রবিউল ইসলাম রবি, সিরাজুল ইসলাম, গোলাম রসুল চন্টা, শফিকুল ইসলাম, শামসুর রহমান, তুহিন হোসেন ও মিজানুর রহমান এবং বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান আলাউদ্দীন আহম্মেদ আলা। ১০নং মশ্মিমনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান খান, খলিলুর রহমান, আবুল হোসেন, শাহরিয়ার কাবিল খান, প্রভাষক ফেরদৌস রানা ও চাকলাদার আবুল বাশার এবং বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান এড. এম,এ গফুর ও বিএনপি নেতা ইয়ামিন হোসেন। ১১নং চালুয়াহাটী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আঃ হামিদ সরদার, আব্দুল হাই ও আব্দুল লতিফ এবং বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান বজলুর রহমান ও বিএনপি নেতা আব্দুল ওয়াদুত। ১২নং শ্যামকুড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের এড. সুব্রত ব্যানার্জী, নজরুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম মনি ও আব্দুল হালিম এবং বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান মশিউর রহমান ও যুবদল নেতা আসাদুজ্জামান মিন্টু। ১৩ নং খানপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সাবেক চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি গাজী মোহম্মদ আলী, ও আবুল কালাম আজাদ মিলন এবং বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান এড. মুজিবুর রহমান ও বিএনপি নেতা মাস্টার আঃ সালাম ও খান শফিয়ার রহমান। ১৪নং দূর্বাডাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বর্তমান চেয়ারম্যান সরদার বাহাদুর আলী, আ’লীগ নেতা চঞ্চল ভট্টাচার্য্য, ও মাসুদ পারভেজ এবং বিএনপির আলতাফ হোসেন ও আব্দুল ওহাব। ১৫নং কুলটিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শেখর চন্দ্র, পরিতোষ কুমার ও শংকর কুমার এবং বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান লক্ষন চন্দ্র ধর, বিএনপি নেতা নাজমুল হক লিটন ও মিজানুর রহমান। ১৬নং নেহালপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ফারুক হোসেন, রুহুল আমিন ও শামছুর রহমান এবং বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান নজমুস সাদাৎ ও ১৭নং মনোহরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কালীপদ বিশ্বাস ও মশিয়ার রহমান এবং বিএনপির সাবেক চেয়ারম্যান আক্তার ফারুক মিন্টু। সর্বশেষ মণিরামপুর উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি থেকে দেড়শতাধিক নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য দলীয় মনোনয়ন পেতে ব্যাপক লবিং-গ্রুপিং করে চলেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মাঠের লড়াইয়ে আ.লীগ এগিয়ে বিএনপিতে নীরবতা
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ