Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহাদেবপুরে নদীর বুকে ধুধু বালু চর

প্রকাশের সময় : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এমএ ছালাম, মহাদেবপুর (নওগাঁ) থেকে : প্রকৃতিতে পুরো মাত্রার খড়া মৌসুম আসার আগেই নওগাঁর প্রধান নদীগুলো শুকিয়ে এখনই মরাখালে পরিণত হয়েছে। এসব এখন নামেই নদী। বাস্তবে খাল। পল্লীর পরিত্যক্ত খালগুলোতেও কিছু পানি পাওয়া যায়। কিন্তু যার নাম নদী, সেই নদীগুলোর এমন লক্ষণ ফুটে উঠেছে যে সেখান থেকে পানিতো দূরে থাক এসবের তলা থেকে ভেজা মাটি পাওয়াও দুষ্কর হবে। এক সময়ের উত্তাল এসব নদী জীর্ণ হয়ে হারাতে বসেছে অতীতের গৌরবময় ঐতিহ্য। নদীগুলো ধুঁকে ধুঁকে মরতে বসলেও কাক্সিক্ষত পানি মিলছে না কোনভাবেই। উজানে থাকা প্রতিবেশী দেশের নদীগুলো থেকে পানি প্রবাহ আটকে রাখায় শুকিয়ে জীর্ণ-শীর্ণ হয়ে যাচ্ছে এসব নদী আর নদী কেন্দ্রীক এলাকাগুলো মরুময়তার ভয়াল গ্রাসে সবুজ থেকে হলুদে বিবর্ণ হতে চলেছে। স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, নদীগুলো এখনই যে অবস্থায় এসেছে তাতে ভরা খরা মৌসুমে ওষুধ করার মত পানিও পাওয়া যাবে না। এক সময়ের পানির ভা-ার এ নদীগুলো এভাবে শুকিয়ে যাওয়ায় এর ভয়াবহ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে মৎস্য, কৃষি, জীববৈচিত্র্য ও বৃক্ষসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে। মরুময়তা নেমে আসতে শুরু করেছে এসব এলাকায়। জেলার প্রধান প্রধান নদী হিসেবে পরিচিত ৫টি নদীরই এ করুণ দৃশ্য দেখে স্থানীয়রা একদিকে হতাশ আর অপরদিকে উৎকণ্ঠিত। এক সময় পানিতে উত্তাল থাকা এ নদীগুলো হচ্ছে মহাদেবপুর উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত আত্রাই, সাপাহার উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত পুর্ণভবা, বদলগাছী উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ছোট যমুনা, আত্রাই উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত নাগর ও জেলা সদরের উপর দিয়ে প্রবাহিত তুলসীগঙ্গা। নদীগুলোতে এক সময় ঢেউয়ের তালে অসংখ্য পালতোলা নৌকা চলাচল করলেও এখনই কোথাও বিরাজ করছে হাঁটু পানি, কোথাও ধুধু বালুচর। পানি আগ্রাসনের ফলেই এক সময়ের খরস্রোতা এসব নদী এখন করুণদশায় এসে ঠেকেছে বলে অভিজ্ঞরা মনে করেন। এদিকে সরকারি নজরদারীর অভাবে এক শ্রেণীর মানুষ নদীগুলোর অনেক স্থান দখলে নিয়ে খুশিমত ভরাট করে ফেলেছেন। অনেকে নদীগুলোর মাটি বিক্রির প্রতিযোগিতায় মেতে ওঠাসহ দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ কাজে মেতে উঠে নদীর শেষ চিহ্নটুকুও মুছে ফেলতে চাইছে। এতে নদীগুলোর মূল সীমানাও হারিয়ে যেতে বসেছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময়ের উত্তাল এসব নদী কোন একদিন মানচিত্র থেকেও হারিয়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মহাদেবপুরে নদীর বুকে ধুধু বালু চর
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ