পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : সুপ্রীম কোর্টের সামনে গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে তীব্র হুঁশিয়ারী ও চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে জাতীয় মুসুল্লী পরিষদ। গতকাল জুমুয়া শেষে বাইতুল মোকাররম মসজিদ প্রাঙ্গণে এক মুসুল্লী বিক্ষোভ সভা করে সংগঠনটি। বক্তারা বলেন, এ সমাবেশ সারা দেশের ১৪ কোটি মুসলমানের সংক্ষুব্ধ মনের বহিঃপ্রকাশ। একে আমলে না নিলে সরকার জনসমর্থন হারাবে। বক্তারা বলেন, সুপ্রীম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে এই সমাবেশের মাধ্যমে জাতির ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
বক্তারা বলেন, দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। দেশের ৯৮ ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমান। মক্কা শরীফ বিজয়ের পর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পবিত্র ক্বাবা শরীফে রক্ষিত ৩৬০টি মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেছিলেন। মুসলিম শরীফের হাদীস শরীফে হুযুর পাক সাল্লাল্লাহ্ ুআলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি আবির্ভূত হয়েছি মূর্তি ধ্বংস করার জন্য। সুবহানাল্লাহ। বলাবাহুল্য দেশের প্রত্যেকটি মুসলমান কুরআন শরীফ, হাদীস শরীফ অনুযায়ী এ চেতনায় বিশ্বাসী। কিন্তু ৯৮ভাগ জনগোষ্ঠী মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে দেশের মানুষের বিচার চাওয়ার সর্বোচ্চ স্থান সুপ্রীম কোর্টের সামনে মূর্তি স্থাপন তারা মেনে নেবেনা। জাতীয় মুসুল্লী পরিষদের উদ্যোগে গতকাল বাদ জুমাহ বাইতুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর চত্বরে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। হাফেজ আব্দুস সাত্তারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু ওলামা পরিষদের নেতা মুফতী মাসুম বিল্লাহ। ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় নেতা এ আর হেলাল, প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রন্টের আহবায়ক শাহসুফী সৈয়দ আব্দুল হান্নান আল হাদিসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ।
সভায় বক্তারা সারাদেশের মসজিদে মসজিদে মুসুল্লী ও ইসলামী দল সমূহকে জোরালো প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, ঘাপটি মেরে থাকা একটি মহল সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুযোগ করে দিতেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান দেশে অন্য ধর্মের মূর্তি তথা গ্রীক দেবী থেমিসের মূর্তি সর্বোচ্চ আদালত প্রাঙ্গণে স্থাপনের ন্যক্কারজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা সরকারের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। কারণ, দ্বীন ইসলামে যেকোন ধরনের মূর্তি তৈরী করা সম্পূর্ণরূপে হারাম।
বক্তারা বলেন, সংবিধানে যেখানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম স্বীকৃত সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের ধর্মীয় স্বকীয়তা প্রাধান্য না দিয়ে উপর অন্য ধর্মীয় সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের নীতিকে কলুষিত করার অপকৌশল। এর মাধ্যমে সরকার বিরোধী ঘাপটি মেরে থাকা মহল ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করার সুযোগ করে দিচ্ছে।
বক্তারা বলেন, সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে মুসলমানদের কোন ধর্মীয় নিদর্শন সুপ্রীম কোর্টের ভেতর স্থাপন করা উচিত ছিল। যাতে সরকারকে আরো জনপ্রিয় ও ধর্মপ্রাণদের সরকার হিসেবে তুলে ধরা যায়। কিন্তু তা না করে অপশক্তিটি মুক্তিযুদ্ধের সরকারকে বেকায়দায় ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র করছে। বক্তারা বলেন, এ চক্রান্তের পেছনে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে ধর্ম অবমাননা আইনের আওতায় আনতে হবে। বক্তারা বলেন, অবিলম্বে ধর্মবিরোধী অপতৎপরতা বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের প্রাঙ্গণে গ্রীক দেবীর মূর্তি স্থাপন বন্ধ করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।