Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গুয়ানতানামো বন্দিশিবির থেকে ৪ ইয়েমেনির মুক্তি সউদি আরবে স্থানান্তর

| প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : কিউবায় অবস্থিত মার্কিন বন্দি শিবির গুয়ানতানামো বে থেকে ছাড়া পাওয়া চার ইয়েমেনি বন্দি সউদি আরবে পৌঁছেছে। কুখ্যাত ওই বন্দি শিবির থেকে আর কোনও বন্দিকে স্থানান্তর না করতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বান উপেক্ষা করেই গত বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) এ চার বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়। সউদি আরবের নাযেফ সেন্টার ফর কাউন্সেলিং এন্ড কেয়ার-এ তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চার ইয়েমেনি বন্দি সউদি আরবের রিয়াদে পৌঁছালে এক অশ্রুসিক্ত মিলনমেলা তৈরি হয়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হন তারা। সউদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ছাড়া পাওয়া চার ইয়েমেনির নাম প্রকাশ করেছে। তারা হলেন, রজব সাদিক আবু ঘানিম, সেলিম আহমেদ হাদি, আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া ইউসূফ আল শাবলি এবং মোহাম্মদ আলি আব্দুল্লাহ বোয়াজির। ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মানসুর হাদির অনুরোধে সাড়া দিয়ে ওই চার বন্দিকে পুনর্বাসিত করছে সউদি সরকার। মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর ওবামা বিতর্কিত বন্দি শিবির গুয়ানতানামো বন্ধ করে দেবেন বলে ঘোষণা দেন। এরই অংশ হিসেবে বন্দি স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ওবামার মতে বিচার না করে লোকজনকে এভাবে আটকে রাখাটা মার্কিন মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে না। তবে এ নিয়ে তা কংগ্রেসে রিপাবলিকানদের বাধার মুখে পড়তে হয়। ওবামা যখন দায়িত্ব গ্রহণ করেন তখন বন্দি শিবিরটিতে ২৪০ জন বন্দি ছিল। বর্তমানে তা কমে ৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ নেবেন। আর তার শপথ গ্রহণের আগে ২০ বন্দিকে স্থানান্তর করা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ট্রাম্প দাবি করে থাকেন যে গুয়ানতানামোর বন্দিরা বিপজ্জনক। কুখ্যাত এ কারাগার থেকে আর কাউকে মুক্তি দেওয়ার পক্ষপাতী নন তিনি। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার একটি টুইটও করেছেন তিনি। ট্রাম্প লিখেছেন, গিতমো (গুয়ানতানামো) থেকে আর কোনও মুক্তি নয়। এরা খুব বিপজ্জনক মানুষ এবং তাদেরকে আবারও যুদ্ধক্ষেত্রে ফেরত যেতে দেওয়া উচিত হবে না। দায়িত্বগ্রহণের পর আরও কিছু কথিত খারাপ মানুষকে নতুন করে ওই কারাগারে রাখার অঙ্গীকারও করেন তিনি। বিবিসি, রয়টার্স।   



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ