পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ধীরগতি ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপি)। অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান। গুরুত্বপূর্ণ তিনটি কেবল কাটা পড়ায় বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি এখন ধীর এবং তা আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে বলে জানানো হয়। আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেব্ল (আইটিসি) অপারেটরদের ওপর নির্ভরশীল আইএসপি অপারেটরদের গ্রাহকেরা কয়েক দিন ধরে ইন্টারনেটের গতি নিয়ে বেশি সংকটে পড়েছেন। আইটিসিগুলো ব্যান্ডউইডথ আমদানি করে ভারত থেকে। বাংলাদেশের আইটিসিগুলোকে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী ভারতী এয়ারটেল ও টাটা ইনডিকমের কেবল কাটা পড়ায় এ সমস্যা হচ্ছে। ইন্টারনেট গেইটওয়ে ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘ধীরগতিতে সমস্যা তেমন প্রকট না হলেও এ সময় মানসম্মত কোয়ালিটিটা থাকবে না।’ উপমহাদেশে সংযোগকারী গুরুত্বপূর্ণ ৫টি কেবলের মধ্যে তিনটি অকেজো হওয়ায় এ অবস্থা হয়েছে।
আইএসপি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশে দৈনিক ইন্টারনেট ব্যবহারের পরিমাণ ৪০০ জিবিপিএস অতিক্রম করেছে। এই ৪০০ জিবিপিএসের মধ্যে ১২০ জিবিপিএস আসে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির (বিএসসিসিএল) মাধ্যমে। বাকি ২৮০ জিবিপিএসের বেশি ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ আন্তর্জাতিক টেরেস্ট্রিয়াল কেবল (আইটিসি) অপারেটরদের মাধ্যমে ভারত থেকে আসে। অর্থাৎ মোট ব্যান্ডউইথের ৭৫ শতাংশের বেশি ইন্টারনেট আইটিসি দিয়েই আসে।
তবে বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানির তথ্যমতে, দেশে ৩০০ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে বিএসসিসিএল সরবরাহ করছে ১৭৭ জিবিপিএস। বাকিটা আমদানি করা হচ্ছে। যারা বিএসসিসিএলের ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করছেন, তারা স্বাভাবিক গতির ইন্টারনেটই পাচ্ছেন।
আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ভারতের আইটুআই সাবমেরিন টেলিকমিউনিকেশন কেবল, টাটা ইনডিকম কেবল (টিআইসি), ইন্ডিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ (আইমিইউই) ফাইবার অপটিক কেবল তিনটি অকেজো থাকায় ভারত থেকে ইন্টারনেট পাওয়া যাচ্ছে না। আইটুআই সাবমেরিন টেলিকমিউনিকেশন কেবল দিয়ে ভারত সিঙ্গাপুরের সঙ্গে যুক্ত। এই কেবলের মালিক ভারতের এয়ারটেল লিমিটেড। এই কেবলে আট জোড়া ফাইবার রয়েছে, যার মধ্য দিয়ে সেকেন্ডে ৮.৪ টেরাবাইট ব্যান্ডউইথ সঞ্চালন সম্ভব। কিন্তু চেন্নাইয়ের সমুদ্রতীর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে কেবলটি কাটা পড়ার কারণে গত ১৩ ডিসেম্বর রাত দুইটা থেকে সেটি অকেজো রয়েছে।
টাটা ইনডিকম কেবল (টিআইসি) দিয়েও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভারত সংযুক্ত রয়েছে, টাটা ইনডিকম ইন্ডিয়া-সিঙ্গাপুর কেবল সিস্টেম (টিআইআইএসসিএস) নামেও পরিচিত। এটি সেকেন্ডে ৫.১২ টেরাবাইট ব্যান্ডউইথ পরিবহনে সক্ষম। ৪ জানুয়ারি রাত একটা থেকে এই কেবলটি অকেজো রয়েছে। ইন্ডিয়া-মধ্যপ্রাচ্য-পশ্চিম ইউরোপ (আইমিইউই) আরেকটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ফাইবার অপটিক কেবল দ্বারা ভারত মধ্যপ্রাচ্যের মধ্য দিয়ে ইউরোপের সঙ্গে যুক্ত। এই কেবলটিও এখন অকেজো। ফলে বাংলাদেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের ধীরগতি পাচ্ছেন।
আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, আইমিইউই কেবল এ সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। আইটুআই কেবলও ২০ জানুয়ারির মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। টিআইসি কেবলের বিষয়ে এখনো কোনো অগ্রগতি জানা যায়নি। এ তিনটি কেবলের মধ্যে দুটি ঠিক হয়ে গেলে বাংলাদেশে ইন্টারনেটের গতি আগের মতো স্বাভাবিক হতে পারে। তবে পুরোপুরি ঠিক হতে এক মাসের মতো সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।