পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক গুলশানে ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছেন, আমরা আপনাদের প্রতিপক্ষ নই। আমরা বন্ধু, শত্রু নই। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন, আপনাদের জন্য যা যা করা দরকার সককিছুই সিটি কর্পোরেশন থেকে করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে ডিএনসিসি নগর ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মেসবাহুল ইসলাম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান ও গুলশান ডিসিসি মার্কেটের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় উত্তরের মেয়র আনিসুল হক এ অগ্নিকা-ের ঘটনায় বিভিন্ন আলোচনা ও সমালোচনার জবাব দিয়ে বলেন, এর পিছনে কিছু মানুষের অন্যরকম স্বার্থ জড়িত রয়েছে। তারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। তাদেরকে এটা কখনও করতে দেয়া হবে না।
ডিএনসিসি মার্কেটে আগুনের ঘটনায় কাদের স্বার্থ জড়িত সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক বলেন, যে বোঝে তার জন্য ইশারাই যথেষ্ট।
এ অগ্নিকা-ের ব্যাপারে যে তদন্ত কমিটি হবে তাতে ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিও থাকবেন বলে মেয়র বলেন, অগ্নিকা-ের ঘটনায় কাউকে দোষারোপ করা যাবে না। কী কারণে অগ্নিকা- ঘটেছে তা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে অবশ্যই বের করা হবে।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কে কত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তা অবহিত করেছেন। মার্কেট কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্তদের যে তালিকা দেবে সে অনুযায়ী তাদের সহযোগিতা করা হবে। মার্কেটটি সিটি কর্পোরেশনের। এখানে অনেকদিন ধরে ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছেন। তাদের উচ্ছেদ করার প্রশ্নই আসে না। প্রয়োজনে সিটি কর্পোরেশন এর সংস্কার করে দেবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি নাশকতা কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর ঘটনার দিন যে বক্তব্য দিয়েছিলাম তা আমার ব্যক্তিগত নয়। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সেদিন ওই বক্তব্য দিয়েছিলাম। এখন এ ঘটনায় সিটি কর্পোরেশন তদন্ত কমিটি করেছে। সরকারের অন্য সংস্থাগুলোও কাজ করছে। তদন্তে ব্যবসায়ীরা যে অভিযোগ করছেন তার প্রমাণ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে সাবেক এই ব্যবসায়ী নেতা আরও বলেন, ব্যবসায়ী ভাইদের বলব, আপাতত এ ঘটনায় কারো গাফিলতি বা দোষ দেবেন না। তদন্ত করতে দেন। তদন্তের পরই সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। সরকার এবং সিটি কর্পোরেশন আপনাদের পাশে আছে। প্রয়োজনে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট ও মহল্লায় আগুন লাগছে। এটি আমাদের জন্য বিরাট অশনি সংকেত। শহরকে এভাবে জ্বলতে দেয়া যায় না। ঢাকার প্রতিটি বাড়ি-কর্মস্থলকে করতে হবে নিরাপদ। এতে যদি স্বল্পকালীন ব্যবসায়িক স্বার্থ ত্যাগ করতে হয়, যদি বৃহত্তর স্বার্থের দিকে তাকিয়ে দোকানপাট আবাসনের জায়গাটি সংস্কার করতে হয় তবে তাই করতে হবে। এ সময় মেয়র রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো থেকে ব্যবসায়ীদের সইচ্ছায় ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাত ২টার দিকে ডিসিসির দুটি মার্কেটে আগুন লাগে। আগুন লাগার ১৫ মিনিটের মধ্যে কাঁচা মার্কেটটি ধসে পড়ে। পরে আগুন পাকা মার্কেটে ছড়িয়ে পড়ে। ১৬ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার ঘোষণা দেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ। তবে আগুন এখনও পুরোপুরি নেভেনি। পুরোপুরি নেভাতে আরও সময় লাগবে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। এরই মধ্যে গত বুধবার সকাল থেকে কাঁচা বাজারে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলেও তৃতীয় দিনের মতো ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। স্তূপ সরাতে গেলেই আগুন জ্বলে উঠছে। অবশ্য আগুন ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই বলে নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
ডিসিসি কাঁচা ও পাকা মার্কেটে ৬ শতাধিক দোকান ছিল। আগুনে প্রায় আড়াইশ’ দোকান পুরোপুরি পুড়ে গেছে এবং বাকিগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।