নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
কোর্ট রিপোর্টার : ঢাকার আশুলিয়া থানায় করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় দুই দফা রিমান্ড শেষে সাংবাদিক নাজমুল হুদাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফাইরুজ তাসনীম কারাগারে পাঠারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুই দফা রিমান্ড শেষে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি নাজমুলকে ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে কারগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এ সময় সাংবাদিক নাজমুলের আইনজীবীরা আদালতে বলেন, এই মামলায় যে অভিযোগ করা হয়েছে, তার বিন্দুমাত্র সত্যতা নেই। বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকা যে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার করেছে, সেই সংবাদের কারণে শ্রমিক আন্দোলনে উস্কানি বা সরকারবিরোধী উস্কানি দেয়া হয়নি। যা ঘটনা শুধু সেই টুকুই প্রচার করা হয়েছে। সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী ওই সংবাদে পুলিশ, বিজিএমইএ নোতাসহ নানা তরফের বক্তব্য যুক্ত রয়েছে। আসলে পূর্বের শত্রুতার কারণে অসাধু ব্যক্তিদের ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য শ্রমিক উস্কানির উছিলা দিয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের অপব্যবহার করা হচ্ছে। তাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে এ বিষয়টি সর্তক করতে পারেন। মাননীয় আদালত, পৃথিবীর অনেক দেশের বিচার ব্যবস্থায় অভিযোগ করার পরে মামলার প্রমাণযোগ্য কিনা আদালতে আসার আগে তা যাচ্ইা করা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এ রকম ব্যবস্থা নেই তাই, আপনার কাছে জামিনের আবেদন করছি। এই মামলায় বর্ণিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের কোনো অপরাধ সাংবাদিক নাজমুল করেন নাই। এছাড়া মামলার ঘটনা সাজানো ও বানোয়াট। আসলে এই মামলার অভিযোগের বিষয়ে সাংবাদিক নাজমুল কিছুই জানে না। তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগও নেই মামলায়। যদিও পুলিশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (১) ধারায় মামলা করেছে, কিন্তু নিয়মানুযায়ী মামলার এজাহারে সাংবাদিক নাজমুলের বিরুদ্ধে সেই ধারার অভিযোগ নাই। এ কারণে এ মামলাও চলে না। এছাড়া মামলার এজাহারের অভিযোগ ও রিমান্ড আবেদনের বক্তব্যে ব্যাপক গড়মিল রয়েছে। মামলায় শ্রমিকদের উস্কানি দেয়ার কথা বলেছেন পুলিশ। মাননীয় আদালত একজন সাংবাদিক শিল্প বিরোধী কোনো কাজ করতে পারেনা। উদ্দেশ মূলকভাবে পুলিশ তার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযু্িক্ত আইনে অস্পষ্ট অভিযোগ এনেছে। এছাড়া সুকৌশলে কারাগারে পাঠানোর উদ্দেশে পুলিশ রিমান্ড ফেরত প্রতিবেদনে বলেছেন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে। আসলে রিমান্ডে নিয়ে তার কাছ থেকে কোনো তথ্যই পায়নি পুলিশ। উল্টো রিমান্ডে নেয়ার পথে সাংবাদিক নাজমুলকে মারধোর করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ। তাকে যে কোনো শর্তে জামিনে মুক্তির আদেশ দেয়া হলে পলাতক হবেন না। উপযুক্ত স্থানীয় জামিনদার দেয়া হবে এবং আদালতের আদেশ মোতাবেক নিয়মিত হাজিরা প্রদান করিবে।
শুনানি শেষে বিচারক জামিন আবেদন নাকোচ করে দেন। এরপরে অসুস্থ নজমুলের সু-চিকিৎসার জন্য আবেদন করা হয়। পরে কারাবিধি অনুযায়ী অসুস্থ নাজমুলকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেন বিচারক। আদালতে নাজমুল হুদার পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সাইদুর রহমান মানিক, আইনজীবী সৈয়দ শাহ আলম, আব্দুল্লাহ আল মুনসুর রিপন, তুহিন হাওলাদার, মাসুদ হোসেনসহ ২০ জনের বেশি আইনজীবী।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে আশুলিয়া থানা পুলিশ বাদী হয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকার সাভার প্রতিনিধি নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা করে। এর কিছুক্ষণ পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।