বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
স্টাফ রিপোর্টার : আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, বিএনপি আজ সাংগঠনিকভাবে বিপর্যস্ত। এর জন্য খালেদা নিজেই দায়ী। আমরা চাই বিএনপি শক্তিশালী হোক, রাজনীতির মাঠে হোক আর নির্বাচনের মাঠেই হোক আমরা তাদের সঙ্গে লড়াই করতে চাই। কারণ রাজনৈতিক দল ছাড়া রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে না। কিন্তু খালেদার ভুলে বিএনপি সংসদেও আসন হারিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, একের পর এক অযৌক্তিক ও পরিপূর্ণভাবে মিথ্যাচার করে খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতারা যেভাবে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন, তাতে বিদেশীদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমর্যাদা নষ্ট হচ্ছে। খালেদা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন। তাদের দ্বারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু একাডেমি আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ে এক আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের স্মরণে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নও বলে গেছে নির্বাচনের জন্য বিএনপিকে প্রস্তুত হতে। আমরাও বলি ২০১৯ সালের জন্য প্রস্তুত হোন। হ্যাঁ, শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠনে কারও আপত্তি নেই। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সামনে এ জন্য আলোচনা হয়েছিল, সেখানে খালেদাও ছিলেন। সে অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে। তাতে আমরা যেমন জিতেছি, তেমন হেরেছি।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা উদার রাজনীতি করেন। তার নেতৃত্বে আমরা নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করব। আপনারা প্রস্তাব দিচ্ছেন না কেন? সবার সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী নির্বাচন কমিশন আরও শক্তিশালী করা হবে।
বিএনপির ৫ জানুয়ারি নির্বাচনকে ‘অবৈধ’ ও বর্তমান সরকারকে ‘অবৈধ’ বলার সমালোচনা করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা। তিনি বলেন, আপনারা আমাদের অবৈধ বলেন, আর সে অবৈধ সরকারের অধীনেই ইউপি নির্বাচন করছেন ধানের শীষ প্রতীকে। তাই আপনাদের কাজেই আপনাদের কথা মূল্যহীন ও গুরুত্বহীন হয়ে গেছে।
নাসিম বলেন, আপনি (খালেদা) মিথ্যা, অসত্য ও যুক্তিহীন কথা বলে মাঠ গরম করছেন। এতে আপনি নেতৃত্বের যোগ্যতা হারাচ্ছেন। নির্বাচনে যখন আসছেন, তখন বৈধ বা অবৈধ বলে লাভ হবে না। এতে জনগণ হাসে, তামাশা করে আপনাকে নিয়ে। এতে আপনার দলকে ও নিজেকে দুর্বল করছেন আপনি।
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু, সাম্যবাদী দলের হারুন চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।