Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গুলশানে মার্কেটে রহস্যজনক আগুন

| প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পুড়েছে পাঁচ শতাধিক দোকান : ধসে পড়েছে চারতলা ভবনের একাংশ : ক্ষয়ক্ষতি দেড়শ’ কোটি টাকারও বেশি : ষড়যন্ত্র বলে ব্যবসায়ীদের দাবি : নাশকতার অভিযোগ নাকচ আনিসুলের
স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গুলশান ১ নম্বরের ডিএনসিসি মার্কেটে রহস্যজনক আগুনে পুড়ে গেছে অন্তত পাঁচ শতাধিক দোকান। ধসে পড়েছে ভবনটির একাংশ। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি এ ঘটনায় অন্তত দেড়শ’ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি।  সেখানকার ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে। তবে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ নাকচ করে একে দুর্ঘটনা বলে দাবি করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি মেয়র আনিসুল হক। সোমবার মধ্যরাতে হঠাৎ আগুন লাগে। সর্বশেষ গতরাত ৮টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও নির্বাপন করা সম্ভব হয়নি। তখনো পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে  নৌবাহিনীর একটি দল ও ফায়ার সার্ভিসের ২৩টি ইউনিট চেষ্টা করছিল। দীর্ঘ সময়েও আগুন নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারায় ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। ঘটনা তদন্তে সিটি কর্পোরেশনসহ ফায়ার সার্ভিসের ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, সোমবার রাত আড়াইটার দিকে গুলশান এক নম্বরের সিটি করপোরেশনের এই মার্কেটের ভেতরে কাঁচাবাজারের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো মার্কেটে। খবর পেয়ে রাত ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। সময় বাড়ার সাথে সাথে আগুনের ভয়াবহতাও বাড়তে থাকে। আগুনের ভয়াবহতা দেখে বাড়ানো হয় ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট। বিভিন্ন স্টেশন থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে যোগ দেয় ২৩টি ইউনিট। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। আগুন লাগার আধা ঘণ্টার মধ্যে ধসে পড়ে তৃতীয় তলাবিশিষ্ট কাঁচামার্কেট। দু’টি আলাদা ভবন মিলিয়ে বিশাল এই মার্কেটে সব মিলিয়ে ৬শ’র বেশি দোকান রয়েছে। মার্কেটের ধসে পড়া অংশে দোকান রয়েছে ৩০৯টি এবং পাকা মার্কেটে দোকান রয়েছে ২৩৪টি। এছাড়া মূল দোকানের আশপাশে এবং নিচতলায় ও কয়েকশ’ অস্থায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। পুড়ে যায় এসব দোকানের অধিকাংশ মালামাল। তীব্র   ধোঁয়া, পানি আর আলোর অভাবে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হয় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের। এ নিয়ে কয়েক দফায় ব্যবসায়ীদের সাথে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়। রাতভর আপ্রাণ চেষ্টা করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস। উল্টো গতকাল সকালের পর পাশের ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এ সময় আশপাশের  কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বিলম্ব হওয়া প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান বলেন, মার্কেটের ভেতর প্রচুর পরিমাণ দাহ্য পদার্থ মজুদ থাকায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে গাফিলতি ছিল কি না অথবা আগুন নেভাতে বিলম্ব হওয়া প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ বলেন, গুলশান ডিএনসিসি মার্কেটে অগ্নিনির্বাপনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। তিনি বলেন, যেকোনো ভবনে আগুন লাগতে পারে। কিন্তু আগুন নেভানোর সক্ষমতা, পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা ও আগুন নেভানোর যন্ত্র থাকতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোতে নির্দিষ্ট পরিমাণে পানি থাকে। ডিএনসিসি মার্কেটে আগুনের ঘটনায় গাড়ির এই পানি শেষ হয়ে  গেলে বাইরে থেকে সংগ্রহ করতে হয়। সেই পানি নিয়ে আসতেও সময় লেগেছে। এ কারণেই আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। অপর এক ফায়ার কর্মকর্তা বলেন, একসাথে দেখা গেছে মার্কেটের বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বলছে। পানি ব্যবহার করায় দেখা গেছে এক জায়গায় কিছুটা আগুন নিভলেও অন্যদিকে জ্বলে ওঠে। আগুনের মাত্রা অনেক বেশি। অপরদিকে, পানি দ্রুত ফুরিয়ে যায়। নতুন করে পানি আনতে সময় লাগায় আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয়।  
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মেয়র আনিসুল হক। এ সময় তিনি বলেন, ভবনের নিচে  কেউ চাপা পড়েনি, এটা আল্লাহর রহমত। এদিকে মার্কেটটি নিয়ে মামলা চলায় এ আগুন পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছে কি না ব্যবসায়ীদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেন, এসব  অভিযোগ ভিত্তিহীন। এটি একটি দুর্ঘটনা। তারপরও বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
এদিকে সোমবার রাতে লাগা আগুনের খবর পেয়ে মার্কেটে ছুটে আসেন সেখানের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতার কারণে তারা নিজ প্রতিষ্ঠানের কাছেও যেতে পারেননি। গতকাল সকাল থেকে ঘটনাস্থলে একাধিক দোকান মালিকের সাথে কথা হয়। তাদের অনেকের মুখেই কোনো ভাষা ছিল না। শুধু চোখে ছিল অশ্রু। ২৯ নম্বর দোকানের মালিক বাচ্চু আহমেদের স্ত্রী রুনা আহমেদ মার্কেটের অদূরে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন কিভাবে চোখের সামনেই পুড়ে যাচ্ছে তার সব। ধোঁয়ার কারণে তিনি দোকানটির কাছেও যেতে পারেননি। প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, সোমবার রাতেও তার স্বামী বেচাকেনা করেছেন। রাতে বাসায় ফেরার পর জানতে পারেন আগুন লাগার কথা। সেই রাত ৩টা থেকে তিনিও দাঁড়িয়ে আছেন মার্কেটের কাছাকাছি। রুনা বলেন, লোন নিয়ে ৪০ লাখ টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছেন। কিন্তু মুহূর্তেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মার্কেটটির দোকান মালিক সমিতির চেয়ারম্যান শের মোহাম্মদ বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে ডেভেলপার কোম্পানি মেট্রো গ্রুপের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুয়ায়ী ৭ বিঘা ৭ শতাংশ জমির ওপর এই মার্কেটটি ভেঙে এখানে ১৮ তলাবিশিষ্ট একটি বহুতল ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়। কিন্তু এখানকার দোকান মালিকদের পুনর্বাসনের কোনো ব্যবস্থা করা হয়নি। এ নিয়ে দোকান মালিকদের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের একরকম বৈরী সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। মেট্রো গ্রুপের ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের জন্য হুমকি দেয়। এ ঘটনা নিয়ে একাধিক মামলাও চলমান রয়েছে। শের মোহাম্মদের দাবি, এটি নিশ্চিত নাশকতা, তাই আগুন লাগার আধা ঘণ্টার মধ্যে ভবনের একাংশ ধসে পড়েছে। সাধারণত আগুন লাগলে এভাবে বিল্ডিং ধসে পড়ে না।
এদিকে ঘটনার পর থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে এ আশঙ্কায় পাশের গুলশান শপিং কমপ্লেক্সের দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে  নেন ব্যবসায়ী-কর্মচারীরা। কিছু কিছু মালামাল বের করার চেষ্টা করছিলেন আগুন লাগা ডিএনসিসি মার্কেটের মসজিদ সংলগ্ন পাকা মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি দোকান থেকে মালামাল বাইরে বের করায় রাস্তাজুড়ে ছিল শুধু আসবাবপত্র। ব্যবসায়ীরা ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে মালামাল নেয়ার চেষ্টা করেন। কোনো ধরনের লুটপাট কিংবা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা যাতে  না ঘটে এ জন্য প্রতিটি রাস্তার মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা মাইকিং করে সাধারণ লোকজনকে রাস্তায় ভিড় না করার জন্য অনুরোধ করতে থাকে। কিন্তু দোকান মালিক-কর্মচারী, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, পুলিশের যানবাহন ও উৎসুক মানুষের কারণে পাশের রাস্তায় যানজট ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও নিরন্তর চেষ্টা চালান। দোকানিদের মালামাল সরানো ও ফায়ার সার্ভিসসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যানবাহনগুলোকে চলাচলের জন্য গুলশান-১ নম্বর চত্বর থেকে শুটিং ক্লাব পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়।
আগুন নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রমের তদারকি করতে গতকাল বেলা ১১টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এর পরপরই ঘটনাস্থলে আসেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আইজিপি চলে যাবার পর ডিএমপি কমিশনার সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত বহিরাগতদের সরে যাওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
সেখানকার ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক শামসুল আলম জানান, তার দোকানে ৭০-৮০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। দোকানের ক্যাশেও এক লাখ ২২ হাজার টাকা ছিল। সোমবার রাত ৯টায় দোকান বন্ধ করে তিনি বাসায় ফেরেন। খবর পেয়ে রাত ৪টায় ঘটনাস্থলে এসে দেখেন তার দোকানেও আগুন জ্বলছে।
এদিকে আগুনের এ ঘটনাকে নাশকতা উল্লেখ করে একাধিক ব্যবসায়ী বলেছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ফায়ার সার্ভিস  তেমনভাবে কাজ করেনি। দোতলা একটি বিল্ডিংয়ের ওপর এই মার্কেট, চার পাশে খোলা অথচ ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলে তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আলতাফ হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী বলেন, ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের উচ্ছেদের জন্যই আগুন দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, রাতে মার্কেটের পূর্ব অংশে আগুন লাগে এবং কিছু সময় পর ওই অংশটি ধসে পড়ে। সকাল ৭টা পর্যন্ত মার্কেটের পশ্চিম অংশে কোনো আগুন ছিল না। ফায়ার সার্ভিসের উপস্থিতিতেই আগুন পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত সারা মার্কেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
অপর এক ব্যবসায়ী জানান, ফায়ার সার্ভিসের ২০-২২টি ইউনিট কাজ করছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একসঙ্গে দু’টি বা তিনটির বেশি কাজ করেনি। একটি ইউনিট ১০ মিনিটের জন্য পানি দিয়ে চলে যায়। আবার ১০ মিনিট পর পানি নিয়ে আসে। এই সময়ের মধ্যে আগুন আবার ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. রিয়াজুল হক বলেন, বর্তমানে ফায়ার সার্ভিসের অত্যাধুনিক সরঞ্জামাদি রয়েছে। এরপরও আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের এত বিলম্ব হবে। আগুন লাগার ঘটনাসহ সব বিষয় তদন্ত করে দেখা হবে। তিনি আরো বলেন, মার্কেটে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য সুদমুক্ত লোন দেয়ার জন্য মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হবে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ৭:১৩ এএম says : 0
    সংবাদটা পড়ার পর আমারো মনে হচ্ছে এটা আবশ্যই ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদের জন্য একটা ঠান্ডা মাথার গভীর ষড়যন্ত্র। উত্তর সিটির মেয়র তদন্ত করারও আশ্বাস দিয়েছেন। আমি চাই মেয়র তারভাব মূর্তি বজায় রাখার জন্য যেন অবশ্যই একটা কঠিন নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি করে অথবা বিচার বিভাগিয় অদন্তের মাধ্যে এর সুষ্ঠ ব্যবস্থা নেবেন। আমি চাই এবিষয়ে যেন মেয়র আনিছ কোনভাবেই তার দপ্তরের কোন কর্মকর্তার পরামর্শ না নেন। তিনি যেন নিজেই নিজের বিবেক দিয়ে এর উপর কাজ করেন তবেই ঘটনার সুষ্ঠ ব্যবস্থা হবে বলে আমার ধারনা। এর বাইরে আমি আমার বিশ্লেষন অনুযায়ী আরো বলতে চাই যে, এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে কোন এক চক্র যারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বর্তমান সরকারকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে নাশকতা মূলক ঘটনা ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে নিজেদেরকে আর্থিক ভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে লাভবান করার জন্যই এই ঘটনা ঘটিয়েছে................
    Total Reply(0) Reply
  • আবু নোমান ৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৫২ পিএম says : 0
    অনতিবিলম্বে এই রহস্যের উদঘাটন করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • রফিক ৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:৫৮ পিএম says : 0
    আমার কাছেও বিষয়টি কেমন স্পষ্ট মনে হচ্ছে না
    Total Reply(0) Reply
  • Tania ৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ৬:০৭ পিএম says : 0
    সাইটটি অনেক সুন্দর একটি সাইট। এই সাইটের পোষ্টগুলি আমার খুব ভালো লাগে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আগুন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ