Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্ষমতা পেলেই ওবামার অনেক সিদ্ধান্ত বদলে দেবেন ট্রাম্প

ট্রাম্পের পরিবেশ নীতি নিয়েও আশঙ্কা বাড়ছে

| প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ক্ষমতা নেয়ার পর পর ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়নে যে তৎপরতা চালাবেন তা এক প্রকার নিশ্চিতই করে দিয়েছেন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি সিন স্পাইসার। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ক্ষমতার অন্তকালে এসে নির্বাহী ক্ষমতাবলে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা ব্যক্তিগত ক্ষোভপ্রসূত বলেও ইঙ্গিত করেন তিনি। রাশিয়ার ৩৫ জন কূটনীতিক নিষিদ্ধ ও দুটি ভবন বন্ধের নির্দেশকে কিছুটা বাড়াবাড়ি হিসেবেই দেখছেন আগামীর এই সেক্রেটারি। তিনি বলেন, কেন এতখানি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হলো? শাস্তির মাত্রাটা দেখুন। ঘটনাটি হয়তো ঘটেছে, হয়তো ঘটেনি। আপনাকে এ নিয়ে ভাবতে হবে।
সিন স্পাইসার এসবকে যথাযথ না উল্লেখ করে বলেন, কিছু সিদ্ধান্ত ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের দিনই পরিবর্তন হয়ে যাবে। তবে ঠিক কোন সিদ্ধান্তগুলো তা তিনি নির্দিষ্ট করে উল্লেখ করেননি। তবে এর মধ্যে যে অভিবাসন, জ্বালানি আইন ও পররাষ্ট্রনীতি গুরুত্ব পাবে তা তিনি খোলাসা করেই বলেন। এই সময় তিনি চীনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ২০১৫ সালে চীন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের তথ্য চুরি করল। তাদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। স্পাইসার প্রশ্ন তোলেন, তাহলে যা করা হলো তা কী রাজনৈতিক ছিল নাকি কূটনৈতিক? গত রোববার এবিটি টিভির দিস উইক অনুষ্ঠানে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন স্পাইসার। অপর খবরে বলা হয়, এ মাসেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু তার ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না তারই দল রিপাবলিকান পার্টির উচ্চপর্যায়ের নেতৃত্ব। ট্রাম্পের শাসনামলে বৈশ্বিক জলবায়ু ঝুঁকি মোকাবিলা কার্যক্রম ভেস্তে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন রিপাবলিকান নেতা ক্রিস্টিন টড হোয়াইটম্যান। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ু সুরক্ষা সংস্থার (ইপিএ) প্রধান ছিলেন ক্রিস্টিন। তার আশঙ্কা, তার নাতি-নাতনিরা ট্রাম্প নেতৃত্বে নিরাপদ নাও থাকতে পারে। কেননা, সবকিছুতেই ট্রাম্পের থোড়াই কেয়ার ভাব। ক্রিস্টিন বলেন, বৈশ্বিক জলবায়ু সুরক্ষা নীতিমালা বাতিলের যে হুমকি ট্রাম্প দিয়ে রেখেছেন, তা পুরো বিশ্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। ট্রাম্পের সমর্থকদের যুক্তি, এই নীতিমালার দোহাই দিয়ে ব্যবসা অন্য দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে ক্রিস্টিনের বক্তব্য হচ্ছে বিশ্বকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে ব্যবসা করার পন্থা যুক্তরাষ্ট্রকেই বের করতে হবে। ট্রাম্পের ক্ষমতা হস্তান্তর সংক্রান্ত শিবির থেকে ইতিমধ্যে কয়লা উৎপাদন বাড়ানো, তেলের নতুন সরবরাহ লাইন ও খনন করার ব্যাপারে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। বিবিসির রেডিও ফোরের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ক্রিস্টিন বলেন, আমার পরিবার এবং বিশ্বের সব পরিবারের ব্যাপারে আমি শঙ্কিত। কেননা, প্রকৃতি কখনো সীমা মেনে থাকে না। একটি দেশের পদক্ষেপ অন্য দেশকে আক্রান্ত করে। তিনি বলেন, পরিবেশ রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে রিপাবলিকানদের ঐতিহ্য রয়েছে। জর্জ বুশ সিনিয়র ১৯৯২ সালে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে জাতিসংঘ জলবায়ু কনভেনশনে স্বাক্ষর করেছিলেন। বিবিসি, রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ