বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রাম ব্যুরো : নগরীর ষোলশহরে ২ নং গেইট এলাকায় পুলিশ সুপার কার্যালয় চত্বরে পুলিশ ক্যান্টিনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে সন্ত্রাসীরা। ওই হামলায় একজন এএসআইসহ তিনজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় ত্রিশ চল্লিশজনের একদল যুবক ওই ক্যান্টিনে সশ্রস্ত্র হামলা চালায়। তারা সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর পুরো ক্যান্টিন ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে নিরাপদে সরে যায়। পরে তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারি কমিশনার আসিফ মহিউদ্দিন বলেন, ৩০-৪০ জন যুবক গিয়ে পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান শুরু করে। জেলা পুলিশের ভাড়া দেয়া ক্যান্টিনটি ব্যক্তিমালিকানায় পরিচালিত হয়। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে কর্মরতরা সাধারণত ক্যান্টিনের নিয়মিত গ্রাহক। ক্যান্টিনের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, নাস্তার বিল নিয়ে সন্ধ্যায় কথা কাটাকাটি হয়েছিল। রাতে আকস্মিকভাবে ৩০-৪০ জন যুবক লাঠিসোঠা, ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ক্যান্টিনে হামলা চালায়। তাদের হামলায় ক্যান্টিনে বসা এএসআই রফিকুল ইসলাম নামে জেলা পুলিশের এক সদস্যের ডান কানে মারাত্মক জখম হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। হামলার সময় প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যায় কর্মচারীরা। হামলাকারী কারা তাদের আনোয়ার হোসেন চিনতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। তবে প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন পুলিশ সদস্য জানায় হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী।
এদিকে পুলিশ ক্যান্টিনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়। গতকাল (শুক্রবার) সকাল সোয়া ১১টায় ক্যান্টিনের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে এ মামলা দাযের করেন। আসামিরা হলেন- নজরুল ইসলাম রুহান (২৫), গোলাম ছামদানি (১৯), ইসতিয়াক হোসেন মনির (২৫), বদরুল ইসলাম (৩২), জাহেদুল ইসলাম (২৪) এবং বিপুল (৩০)। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম রুহান, ইসতিয়াক হোসেন মনির, ও গোলাম সামদানি গ্রেপ্তার আছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচলাইশ থানার এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ক্যান্টিনে’র ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় পুলিশ ক্যান্টিনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে জানিয়ে এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, আসামিদের মধ্যে তিনজনকে ওই রাতেই আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে। ক্যান্টিনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পুলিশের হাতে আছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।