পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টালিন সরকার : ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে; রক্ত লাল রক্ত লাল রক্ত লাল’ জোয়ার এসেছে জনসমুদ্রে রক্তলাল রক্তলাল রক্তলাল’ এই দেশাত্মবোধক গানের মতোই দেশের মানুষ নতুন বছরে নতুন সূর্যের প্রত্যাশায়। ইসি গঠনে প্রেসিডেন্টের উদ্যোগে বঙ্গভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শুরু হওয়ায় এ প্রত্যাশায় নতুন মাত্রা যোগ হয়। মানুষের সেই স্বপ্নের ছবিতে হঠাৎ কালি লেপ্টে দেয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যাকান্ড ও ৫ জানুয়ারী ইস্যু। টানেলের শেষপ্রান্তে আলোর ঝিলিক যেন দপ করে নিভে যাচ্ছে দোষারোপের রাজনীতির ঝাপটায়। নিজ বাসায় দুর্বৃত্তের হাতে এমপি লিটন খুন হওয়ার পর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও মাঠের বিরোধী দল বিএনপি একে অপরের উদ্দেশ্যে যেভাবে দোষারোপের বিষাক্ত তীর ছুঁড়ছেন; তাতে রাজনীতির আকাশে নতুন সূর্য দেখার অপেক্ষারত মানুষের আশাভঙ্গ হওয়ার উপকৃম হয়েছে।
২০০৮ সালের নভেম্বরে মুম্বাইয়ে বোমা হামলায় প্রাণ হারায় ১৬৪ জন। ভয়াবহ ওই খবর পেয়ে বিদেশ সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং। বিমানবন্দরে শত শত সাংবাদিক ঘিরে ধরে হামলায় পাকিস্তান জড়িত কিনা জানতে চান। কিংকর্তব্যবিমূঢ় মনমোহন সিং স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে সবিনয়ে বলেন, ‘তদন্তের পর বোঝা যাবে কারা জড়িত’। পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে ‘তদন্ত শুরু হতে না হতেই কেমন করে জানবো কারা হত্যাকা- ঘটিয়েছে?’ এই হলো দায়বন্ধতার রাজনীতি। আর আমাদের দেশে কোথাও অঘটন ঘটলেই দায়িত্বহীন অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের বেসুরো বাশি বাঁজতে শুরু করে। শুরু হয়ে যায় দোষারোপের তীর ছোঁড়া। নেতারা চোখ বন্ধ করেই বলে দেন কারা হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। আওয়ামী লীগ আঙ্গুল তোলে বিএনপির দিকে। বিএনপি পাল্টা দায় চাপান আওয়ামী লীগের উপর। দোষারোপের এই রাজনীতি দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন রেখা টেনে দিয়েছে। খুন-অপরাধ ঘটনার পর দু’দলের কাদা ছোঁড়াছুড়িতে তদন্তে ঘটছে ব্যাঘাত; প্রকৃত অপরাধীরা থেকে যাচ্ছে পর্দার আড়ালে। রাজনৈতিক অঙ্গনের দোষারোপের এই ছিঁপি’র মুখ কিছুদিন বন্ধ থাকলেও গাইবান্ধা-১ আসনের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন (শ্যুটার লিটন) খুনের পর তদন্তের আগেই ব্লেইম গেইমের ছিঁপি’র মুখ খুলে গেছে। তদন্ত শুরু হতে না হতেই বড় দুই দলের নেতারা প্রতিপক্ষের দিকে বিষ্ঠা ছুঁড়ে দেয়ার মতো করে মন্তব্য করে দায় চাপাচ্ছেন। এতে অপরাধীরা হচ্ছেন উল্লসিত। সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতা ‘....,/আড়ালে তার সূর্য হাসে/...../অন্ধকারেই ফিরে আসে’ নামান্তর। দুই দলের নেতাদের বালখিল্যতায় প্রকৃত অপরাধীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে সূর্যের মতো হাসছে। প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি না হওয়ায় ওই অপরাধীরা আবার অন্ধকারে নতুন করে অঘটন ঘটাচ্ছে।
বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট সংলাপের উদ্যোগ নেয়ায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে যে সুবাতাস বইতে শুরু করে; হিংসা-বিদ্বেষের বালখিল্যতার চোরাবালিতে সে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়ানোর উপক্রম হয়েছে। বিদায়ী বছরের শেষ দিনে গাইবান্ধা-১ সুন্দরগঞ্জের এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের খুনের ঘটনায় আবার শুরু হয়েছে দোষারোপের রাজনীতি। ইংরেজিতে একে বলে ‘ব্লেইম গেইম’। এই খুনের ঘটনায় ক্ষমতাসীনদের ভীতি-আতঙ্ক এবং সাধারণ মানুষের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই সরগরম টিভির টকশো। ঘটনা তদন্ত এবং প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করার আগেই ক্ষমতাসীন দলের নেতারা দায় চাপাচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতের উপর। তাদের বক্তব্য ওই শক্তিই লিটনকে খুন করেছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বলেছেন, আগে পরিকল্পিতভাবে লিটনের ইমেজ নষ্ট করা হয়েছে। যারা তার ইমেজ নষ্ট করেছে তারাই তাকে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ কয়েকজন নেতা ঘটনার জন্য সন্দেহের আঙ্গুল তুলেছেন বিএনপি ও জামায়াতের দিকে। দল দু’টি থেকে অভিযোগ করা হয়েছে ইতোমধ্যে তাদের অনেক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার আতঙ্কে সুন্দরগঞ্জ এলাকার কয়েকটি গ্রাম পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। বিএনপির মহাসচিব ঘটনার জন্য সরকারের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন। জনমনে শঙ্কা রাজনীতিকদের এই একে অপরকে দোষারোপের সুযোগ লিটন হত্যার প্রকৃত অপরাধীরা পর্দার আড়ালে চলে যাবে। অন্য কয়েকটি ঘটনার ক্ষেত্রে তেমনটাই ঘটেছে। সুশীল সমাজ প্রশ্ন তুলেছে নিজ ঘরে এমপিরা নিরাপদ নন; সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোন পর্যায়ে? এমপিদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য পদক্ষেপ চেয়ে স্পীকার চিঠি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। জনগণ নিরাপত্তার জন্য কে পদক্ষেপ নেবেন?
ঢাকার রাজপথে পুলিশের সামনে ছাত্রলীগের হাতে তরুণ দর্জি বিশ্বজিত হত্যাকান্ড, চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে বৌদ্ধ পল্লীতে অগ্নিকান্ড, রংপুর ও ঢাকা দুই বিদেশী হত্যাকান্ড, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসির নগরে হিন্দু গ্রামে অগ্নিসংযোগ, গাইবান্ধায় সাঁওতাল পল্লীতে অগ্নিকান্ড, কয়েকটি ধর্মীয় উপাসনালয়ে হামলা এবং ইমাম-মুয়াজ্জিম-পুরহিত হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটি ঘটনার পর রাজনীতিতে শুরু হয় দোষারোপের খেলা। ফলে অধিকাংশ ঘটনার তদন্ত রিপোর্টের খবর মানুষ জানতে পারে না। ৩১ ডিসেম্বর নিজ বাসায় দুর্বৃত্তের হাতে নিহত হন মঞ্জরুল ইসলাম লিটন। সুন্দরগঞ্জ এলাকায় তিনি শ্যুটার লিটন নামে পরিচিত। গত বছরের ২ সেপ্টেম্বর নিজ নির্বাচনী এলাকা সুন্দরগঞ্জের গোপালচরণ মোড়ে সৌরভ নামের এক শিশুর দুই পায়ে গুলি করেন। এ ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানায় সৌরভের বাবা সাজু মিয়া বাদী হয়ে মামলা করলে এমপি লিটন আত্মগোপনে চলে যান। ১২ অক্টোবর হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করলে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। প্রভাব খাঁটিয়ে মামলা তোলার চেষ্টা করলে পুলিশ ঢাকার উত্তরা থেকে এমপি লিটনকে গ্রেফতার করে। ২২ দিন কারাভোগের পর তিনি জামিনে মুক্তি পান। ওই সময় এমপি লিটনের বিচারের দাবি করে মিছিল করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ। বিদায়ী বছরের শেষ দিন লিটনের খুনের পর কিছুদিন চাপা থাকা দোষারোপের চর্চা যেন হূড়মুড় করে জেগে উঠেছে। মূলত দেশের রাজনীতিতে হিংসা-বিদ্বেষ ভয়ানক সংক্রামক ব্যাধি হিসেবে অবিভূত। ক্ষমতাশ্রয়ী বড় দলগুলোর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রতি লোলুপতা, হীন মনমানসিকতা, প্রতিপক্ষ্যের প্রতি ঈর্ষাপরায়ণতা, বৈধ-অবৈধ পথে সম্পদ আহরণের মোহ, দলের ভিতরে পদমর্যাদার লোভ-লালসা থেকেই এই হিংসা-বিদ্বেষের উৎপত্তি ও বিকাশ। হিংসা-বিদ্বেষ তাদের জনসেবা এবং সৎকর্ম থেকে দূরে সরিয়ে রাখছে এবং বিবেকবুদ্ধি কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। ডক্টরেট ডিগ্রী ধারী নেতারা এমন সব বালখিল্য কথাবার্তা বলে থাকেন যা শুনে রিক্সাওয়ালাও ছিঁছা করেন। রাজনীতিকদের প্রতিপক্ষের প্রতি এই হিংসা-বিদ্বেষ, শঠতা-কপটতা, হানাহানি দেশের গণতন্ত্রকে অনিশ্চয়তার পথে ঠেলে দিচ্ছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে দোষারোপের রাজনীতির চর্চা এতটাই নির্লজ্জ পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সাধারণ মানুষ রাজনীতিকদের ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলছে। শিক্ষিত তরুণ ও মেধাবী ছাত্ররা এখন আর রাজনীতিতে আসতে চায় না। এ নিয়ে কথা বলতেও বিজ্ঞজনদের অনেকেই দ্বিধাবোধ করেন। যে কেনো ইস্যু নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ করা যেন দেশের রাজনীতিকদের মধ্যে স্থায়ী সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। যারাই ক্ষমতায় থাকেন তারা অন্যের রাজনৈতিক মতাদর্শকে গুরুত্ব দেন না। অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন না। এতে করে নেতাদের মধ্যে সহনশীলতা ক্রমান্বয়ে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।
রাজনীতির মাঠে কেন এই দোষারোপ এবং কেন তুচ্ছতাচ্ছিল্য? মানুষের চোখ কান খেলা; সবাই সবকিছু বোঝেন। দেশে টেকসই উন্নয়ন করতে চাইলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে বাদ দিয়ে তো সম্ভব নয়। সবাই তো এই ভূখন্ডের বাসিন্দা। সবাইকে একই মতাদর্শের হতে হবে গণতন্ত্র এমন মত দেয় না। আপনি তো কাউকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে পারবেন না। সমাজের একটি অংশকে বাদ দিয়ে খুব বেশি সামনে এগোনো যায় না। এতে সমাজ দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। চীনপন্থী আর ভারতপন্থী ব্যানারে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের মানুষ দুই ভাগ হয়ে গেছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় গণতান্ত্রিক রীতিনীতি মেনে সবার তো রাজনীতি করার সুযোগ থাকতে হবে। মামলা, হয়রানি, দমনপীড়ন অব্যাহত থাকলে বিরোধী রাজনীতি তো সমন্তরাল হবে না। এমপি লিটন হত্যাকান্ডের পর বিএনপির মহাসচিব শোক প্রকাশ করেছেন। প্রকৃত অপরাধীর শাস্তি দাবি করেছেন। আওয়ামী লীগ সেটাতে ইতিবাচক হিসেবে না দেখে নেতিবাচক হিসেবে দেখছে! ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী দেশের গণতন্ত্রের জন্য ব্যতিক্রমী দিন। দিবসটিতে জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় বসেছে আওয়ামী লীগ। তখন থেকে ৫ জানুয়ারিকে বিএনপি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ আর আওয়ামী লীগ ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালন করে আসছে। এবার আওয়ামী লীগ যথারীতি দিবসটি পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। অথচ আইন-শৃঙ্খলার অজুহাতে বিএনপিকে সমাবেশ করার স্থান বরাদ্দ দিতে গরিমসি করছে। মজার ব্যাপার হলো পহেলা জানুয়ারী জাতীয় সংসদের গৃহপালিত বিরোধীদল এরশাদের জাতীয় পার্টির সমাবেশ করেছে। তাদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অজুহাত তোলা হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রেসিডেন্ট যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা রাজনীতির জন্য ইতিবাচক। কিন্তু সবাইকে তো মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিতে হবে। অপ্রিয় হলেও সত্য রাজনৈতিক সহিংসতা ও হিংসা-প্রতিহিংসার কারণে কয়েক বছর থেকে দেশের মানুষ চরম বিপর্যয়কর অবস্থায় বসবাস করছে। অনিশ্চয়তা মানুষকে চরম দূর্বিপাকে ফেলেছে। বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদের সংলাপের উদোগে মানুষ কিছুটা হলেও আশাবাদী হয়েছে যে রাজনীতির আকাশের কালো মেঘ হয়তো নতুন বছরে সূর্যের আলোয় কেটে যাবে। কিন্তু লিটন হত্যাকান্ড এবং ৫ জানুয়ারী ইস্যুতে সে প্রত্যাশার আকাশে কালে মেঘের আনাগোনা শুরু হয়েছে। মানুষ আশা নিয়েই বাঁচতে চায়, সামনে এগুতে চায়। মানুষের এই চাওয়া পূর্ণ করার দায়িত্ব নেতাদের। আর এ জন্যে দরকার আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কাদা ছোঁড়াছড়ি তথা দোষারোপের রাজনীতি ছেড়ে বাস্তবতার নিরীখে সিদ্ধান্ত নেয়া। হিংসা-বিদ্বেষ সমস্যার সমাধান নয়। কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন ‘উহারা প্রচার করুক হিংসা-বিদ্বেষ আর নিন্দাবাদ; আমরা বলিব সাম্য শান্তি এক আল্লাহ জিন্দাবাদ/ ওরা কাদা ছুঁড়ে বাধা দেবে ভেবে তাদের অস্ত্র নিন্দাবাদ; মোরা ফুল ছুড়ে মারির ওদের বলিব এক আল্লাহ জিন্দাবাদ’। জাতীয় কবির এই পংক্তি দেশের রাজনীতির জন্য বর্তমানে খুবই প্রাসঙ্গিক। সব দলের নেতাদের উচিত ব্লেইম গেইমের বদলে জাতীয় কবির এই কবিতা থেকে শিক্ষা নেয়া। এতে জাতি বাঁচবে নেতারও বাঁচবেন। দোষারোপের রাজনীতি সংকটের সমাধান নয়; বরং নতুন সংকট সৃষ্টি করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।