Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তুরস্ককে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার আশ্বাস

ইস্তাম্বুল হামলায় পোপ ও ওবামার নিন্দা

| প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : নতুন বছরের বার্তায় সন্ত্রাসী কর্মকা- আর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। সন্ত্রাস রুখতে এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বিশ্ব নেতাদেরকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, ২০১৭ সালের শুরুতেই বিশ্ব রক্তের চিহ্নে ছেয়ে যাচ্ছে। সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে ৫০ হাজার মানুষের সমাবেশে রোববার নববর্ষের বার্তায় পোপ একথা বলেন। ইস্তাম্বুলে নাইটক্লাবে হামলায় অন্তত ৩৯ জন নিহতের ঘটনারও নিন্দা জানান তিনি। পোপ বলেন, নতুন বছরের জন্য শুভ আকাক্সক্ষা আর আশাবাদের রাতটিতেও সহিংসতার এমন আঘাত খুবই দুভার্গজনক, মর্মন্তুদ। আমি তুরস্কের জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। যারা হামলা শিকার হয়েছে, আহত হয়েছে তাদের জন্য এবং সর্বোপরি শোকার্ত এ জাতির জন্য আমি প্রার্থনা করছি। বিশ্বের ভাল মনের মানুষেরা সাহসের সঙ্গে কোমর বেঁধে এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এবং রক্তের যে চিহ্ন বিশ্বকে আতঙ্ক আর বেদনার কালো ছায়ায় ঢেকে দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামুক ঈশ্বরের কাছে এ আর্জিই জানাচ্ছি। ওদিকে, তুরস্কের ইস্তাম্বুলের নৈশক্লাবে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন ছুটি কাটাতে হাওয়াইয়ে অবস্থানরত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। প্রথম বিশ্বনেতা হিসেবে এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় তুরস্ককে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্রের সূত্রে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি খবরটি নিশ্চিত করেছে। ওরকাটয় এলাকায় রেইনা নৈশক্লাবে শনিবার দিবাগত রাত ১টার পরপর এ হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, স্থানীয় সময় গত শনিবার দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে এই হামলা হয়। দূরপাল্লার আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একজন সন্ত্রাসী নির্মমভাবে নববর্ষ উদযাপনরত নিরীহ লোকজনের ওপর গুলি চালায়। ইস্তাম্বুলের গভর্নর ভ্যাসিপ শাহিন জানান, বন্দুকধারীর গুলিতে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছে কমপক্ষে ৪০ জন। এ ঘটনায় বিশ্বনেতা হিসেবে দেওয়া প্রথম বিবৃতিতে হামলায় নিরীহ মানুষের প্রাণহানিতে শোক জানিয়েছেন ওবামা। হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইস্তাম্বুলের জঙ্গি হামলায় ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন। প্রয়োজন অনুযায়ী তুর্কি কর্তৃপক্ষকে যথাযথ সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ঘটনার প্রতিটি অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানায়, হামলার সময় নৈশক্লাবে প্রায় ৭০০ লোক ছিল। এদের মধ্যে অনেকেই নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ রক্ষা করে। সম্প্রতি ধারাবাহিক জঙ্গি হামলার কবলে পড়েছে তুরস্ক। হামলার আশঙ্কায় এরই মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার পুলিশ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। ইস্তাম্বুলে ছিল উচ্চ সতর্কতা। তারপরও এই হামলা সংঘটিত হলো। এর মাত্র কিছুদিন আগেই আঙ্কারায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেই কারলভকে গুলি করে হত্যা করেন পুলিশ কর্মকর্তা মেভলুত মের্ত আলতিনতাস। এএফপি, বিবিসি ও রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ