পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটনকে হত্যায় যে-ই জড়িত থাকুক, তাদের খুঁজে বের করা হবে। অচিরেই তাদের গ্রেফতার করা হবে। গতকাল রবিবার মন্ত্রণালয়ে নিজ কক্ষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এ হত্যাকান্ডের তদন্ত সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে করা হবে। মনজুরুল ইসলাম লিটনের খুনিদের গ্রেফতারে ঘটনার পরপরই পুলিশ ও গোয়েন্দারা কাজ শুরু করেছে। সন্দেহভাজন ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, সংসদ সদস্য হত্যার পেছনে কারা জড়িত তা খুঁজে বের করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের অচিরেই গ্রেফতার করা হবে। এরপর জানা যাবে কী কারণে, কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এমপি লিটন হত্যাকান্ড সন্ত্রাসীদের নতুন ডাইমেনশন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হঠাৎ করে এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সন্ত্রাসীদের নতুন অধ্যায় হতে পারে। এর আগেও আমরা সন্ত্রাসীদের কঠিন হাতে দমন করেছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী এ বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে আছি।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সন্ত্রাসীদের কঠিন হাতে দমন করা হবে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িত সন্দেহে ১৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরো গ্রেফতার করা হবে। তথ্য উদঘাটনের কাজ করছে গোয়েন্দা বাহিনীগুলো। সন্ত্রাসীদের অচিরেই ধরে ফেলব। আসল অপরাধী ধরা পড়বে।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে কি না এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশ্নই আসে না। গোয়েন্দা বাহিনী এ বিষয় নিয়ে কাজ করছে। তাদের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। এটি সন্ত্রাসীদের কৌশল হতে পারে। কারণ এ ধরনের ঘটনা গত সাত-আট বছরেও হয়নি। এটি প্রথম। সবকিছু সামনে রেখে কাজ করছি। পুলিশ অনেক ভালো কাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, ‘কারো ভবিষ্যদ্বাণীতে আমাদের কিছুই যায় আসে না। আমাদের গোয়েন্দারা কী তথ্য দিচ্ছে সেটিই বড় বিষয়।
এ ঘটনা সরকারের জন্য হুমকি কি না এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের ওপর কোনো হুমকি নেই। পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা আগেও করা হয়েছে। আমরা সবকিছুই মাথায় রেখে কাজ করেছি।
একজন এমপিকে বাসায় ঢুকে মেরে ফেলার ঘটনা আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা প্রমাণ করেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা ব্যর্থতা নয়। তিনি অত্যন্ত দরদী মানুষ ছিলেন। মানুষের সঙ্গে, জনগণের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করেছেন। সে কারণেই সন্ত্রাসীরা এ সুযোগটা নিয়েছে।
এ ঘটনায় সরকার উদ্বিগ্ন কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা মোটেও উদ্বিগ্ন নই। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যথেষ্ট পারদর্শী। তাদের ওপর আমাদের বিশ্বাস আছে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকদের সতর্কতার সঙ্গে চলাচলের নির্দেশ দেবেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবাই নিজের এলাকায় সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করবে এটাই স্বাভাবিক। আগেই তাদের এ নির্দেশনা দেয়া আছে। তবে সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার এলাকার মোবাইল টাওয়ার অবজারভেশনে রাখা হয়েছে। কার সঙ্গে কার কথা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অবিলম্বে এ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।