কর্পোরেট রিপোর্ট ঃ ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) উত্তরাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্র ও দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর হিলি থেকে রাজস্ব আহরণ নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে ২৪ কোটি ৯৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বেশি হয়েছে। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে এ বন্দরে মোট ১৯ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৪৩ কোটি ৯৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশন কার্যালয় জানিয়েছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছর শুরুর মাস জুলাইয়ে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্য ছিল ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আয় হয়েছে ৫ কোটি ৮৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। একইভাবে আগস্টে ৩ কোটি ৮০ লাখের বিপরীতে ৭ কোটি ৭৬ লাখ ৩৬ হাজার, সেপ্টেম্বরে ৩ কোটি ৮০ লাখের বিপরীতে ৯ কোটি ৭ লাখ ৯২ হাজার, অক্টোবরে ৩ কোটি ৮০ লাখের বিপরীতে ১১ কোটি ৮২ লাখ ২৫ হাজার ও নভেম্বরে ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা লক্ষ্যের বিপরীতে ৯ কোটি ৪৪ লাখ ৩৮ হাজার টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। বন্দর দিয়ে বেশি শুল্কের পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় পড়েন ব্যবসায়ীরা। আমদানিকৃত পণ্যের মূল্যের ওপর জোর দিয়ে শুল্কায়ন করায় আমদানিকারকরা লোকসানে পড়ছেন। বন্দরের এসব সমস্যা সমাধান করা গেলে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। এতে ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি সরকারও লাভবান হবে। ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ, চাল, গম, ভুট্টা, খৈল, ভুসি-জাতীয় পণ্য বেশি পরিমাণে আমদানি হয়। তবে এসব পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে তেমন শুল্ক আরোপ করা হয় না। বন্দরের আয়ের প্রধান উৎস পাথর আমদানি। আগে হিলি বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি হতো না। সম্প্রতি পদ্মা সেতুসহ দেশের অবকাঠামো নির্মাণ খাতে প্রচুর পাথরের চাহিদা তৈরি হয়েছে। এ কারণে হিলি দিয়ে পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকৃত পাথরের ওপর শুল্কারোপ থেকে অর্জিত আয়ের ফলেই বন্দরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রাজস্ব আহরণ হচ্ছে।’