Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সংঘর্ষে পন্ড হয়ে গেছে সিরিয়া অস্ত্রবিরতি

| প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে সংঘর্ষ, গোলাবর্ষণ এবং বিমান হামলায় পন্ড হয়ে গেছে রাশিয়া ও তুরস্কসমর্থিত অস্ত্রবিরতি। প্রায় ৬ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটানো এবং সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে শান্তি আলোচনার সূচনা করার লক্ষ্য নিয়ে এ যুদ্ধবিরতিতে একমত হয়েছিল দু’দেশ। তুরস্কের সঙ্গে অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে রাজি হওয়ার পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন গত বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেন। সে অস্ত্রবিরতি মধ্যরাতে কার্যকরও হয়। কিন্তু এর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সংঘর্ষ শুরু হওয়ার কথা জানায় বিদ্রোহীরা ও যুদ্ধপরিস্থিতি পর্যবেক্ষকরা। ওদিকে, যুদ্ধবিমানগুলো দেশের উত্তর-পশ্চিমের এলাকাগুলোতে বোমাবর্ষণ করায় শুক্রবার বেলা গড়ালে সহিংসতা শুরু হয়। এদিকে, কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় জানুয়ারি মাসের শেষদিকে আসাদ সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও তুরস্কের সহায়তায় সমঝোতা হওয়া এই চুক্তি গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কার্যকর করা হয়েছিল। খবরে বলা হয়, তুরস্ক ও রাশিয়া এই অস্ত্রবিরতির জামিনদার (গ্যারান্টর) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট, আল কায়েদাসমর্থিত নুসরা ফ্রন্ট ও কুর্দিশ ওয়াইপিজি এই অস্ত্রবিরতির আওতার বাইরে থাকবে। বেশিরভাগ এলাকায় অস্ত্রবিরতি কার্যকর ছিল, যদি এই অবস্থা বিরাজ থাকে তাহলে আগামী এক মাসের মধ্যে কাজাখস্তানে শান্তি আলোচনা শুরু হবে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি অব হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পরে সিরিয়াজুড়ে শান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে তারা জানিয়েছে, হামা প্রদেশে বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে লড়াই হয়েছে। ২০১১ সালে শুরু হওয়া বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হওয়ার পরে বিগত ৫ বছরে ৩ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। আরো প্রায় ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে ইউরোপসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোয় শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগে অপর এক খবরে বলা হয়, সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতি অনুমোদন করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব এনেছে রাশিয়া। গত শুক্রবার প্রস্তাবটির ওপর আলোচনা হয়েছে। প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা রয়েছে। এ সম্পর্কে জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভিতালি চুরকিন বলেছেন, সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাবটি পাস হয়ে যাবে বলে তিনি আশা করছেন। সম্প্রতি মস্কো, আঙ্কারা ও দামেস্কের উদ্যোগে সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে যুদ্ধরত পক্ষগুলো। অবশ্য আইএস ও আন্ নুসরা ফ্রন্টের মতো উগ্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে যুদ্ধবিরতির বাইরে রাখা হয়েছে। রাশিয়ার প্রস্তাবে সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির কথা বলা হয়েছে তাতে আগামী মাসে সরাসরি শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে দু’পক্ষ। কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় জানুয়ারি মাসের শেষদিকে ওই আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। রাজনৈতিক উপায়ে চলমান সংকট নিরসনের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা শক্তিশালী করেছে তুরস্ক। তুর্কি সরকার ওয়াশিংটনের কাছ থেকে দূরে সরে গিয়ে মস্কোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অনেকে মনে করেছেন। রয়টার্স, তাস, গাল্ফ নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ