ভারত-উজবেকিস্তানের ১৫ দিনের যৌথ সামরিক মহড়া শেষ হয়েছে। রোববার উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ে যুদ্ধ শক্তি ও আধিপত্য প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে এ মহড়া শেষ হয়।
হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে দ্বিবার্ষিক অনুশীলনের চতুর্থ সংস্করণ ছিল এই মহড়া। একে বলা হচ্ছে, ‘ডাস্টলিক’; উজবেক ভাষায় যার মানে বন্ধুত্ব।
উত্তরাখণ্ডের দেরাদুনের প্রতিরক্ষা বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তালেফটেন্যান্ট কর্নেল মনীশ শ্রীবাস্তব জানান, মহড়াটি উভয় সশস্ত্র বাহিনীকে জাতিসংঘ সনদের অধীনে একটি যৌথ পরিবেশে অপারেশনের প্রশিক্ষণের সুযোগ দিয়েছে। দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ নির্মূল এবং বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনার অভিন্ন লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করে। ভারত ও উজবেকিস্তানের মধ্যে অনুশীলন হলো এমন একটি প্ল্যাটফর্ম, যেখানে দুই দেশের সেনাবাহিনী পরস্পরে হাত মেলায় এবং অপারেশন ও যুদ্ধ কৌশল শেয়ার করে। ১৫ দিনের এই অনুশীলনের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো দুই দেশের সেনাবাহিনীর অপারেশন পরিচালনা জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়।
১৪ গাড়ওয়াল রাইফেলসের কমান্ডিং অফিসার কর্নেল অনুজ ত্যাগী বলেন, দুই সেনাদলকে যুদ্ধ কৌশলে রাখা হয়েছিল। গুলি চালানোর মহড়া এবং যুদ্ধের ময়দানে কঠিন পরিস্থিতিতে করণীয়র ব্যাপারে সেশন ছিল অনুশীলনে। ভারতের সেনাবাহিনীর দল উজবেকিস্তানের অপারেশন পরিচালনা পদ্ধতি ও যুদ্ধের মহড়ার সঙ্গে পরিচিত হয়। বিপরীতে উজবেকিস্তানের ভারতের সমর কৌশলের সঙ্গে পরিচিত হয়।
অনুজ আরও বলেন, একে অপরের দেশকে বুঝতে উভয়ের ভূগোল, ইতিহাস, বাণিজ্য, অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য খাতে মানুষের মধ্যে সম্পর্ক বুঝতে দেশ দুটির প্রেজেন্টেশনও তুলে ধরা হয়।