মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কয়েক মাস ধরে পরিশ্রম করে জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলেন এক কৃষক। কিন্তু দীর্ঘ সেই পরিশ্রমের পরও ন্যায্যমূল্য পাননি তিনি। আর এরই জেরে সরকারের ওপরক্ষুব্ধ হয়ে নিজের পেঁয়াজে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। সোমবার ভারতের মহারাষ্ট্রে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উৎপাদিত পণ্যের সঠিক মূল্য নিশ্চিত না করার জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিক্ষুব্ধ হয়ে মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার একজন কৃষক সোমবার তার নিজের পেঁয়াজের খামারে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন। পুড়িয়ে দেওয়া এসব পেঁয়াজ চাষ করতে ওই কৃষকের কয়েক মাস সময় লেগেছিল। বলছে, পেঁয়াজ আগুনে পুড়িয়ে দেওয়াক্ষুব্ধ ওই কৃষকের নাম কৃষ্ণা ডোংরে। তিনি মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার ইয়েওলা তালুকের একজন কৃষক। উৎপাদিত শস্যের সঠিক দাম না পেয়ে সোমবার তিনি তার পুরো ১.৫ একর জমির পেঁয়াজ পুড়িয়ে দিয়েছেন। কৃষ্ণা ডোংরে নামের এই কৃষক এনডিটিভির সাথে কথা বলার সময় বলেন, গত চার মাসে তিনি এই ফসলের জন্য এক লাখ ৫০ হাজার রুপি খরচ করেছেন এবং এখন এটি বাজারে নিয়ে যেতে তাকে আরও ৩০ হাজার রুপি খরচ করতে হবে। আর বাজারে পেঁয়াজের বর্তমান যে মূল্য তাতে তিনি পাবেন কেবল ২৫ হাজার রুপি। ডোংরে বলেন, আমি ১.৫ একর জমিতে এই পেঁয়াজ চাষ করার জন্য চার মাস দিনরাত পরিশ্রম করেছি। তার অভিযোগ, ‘রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভুলের কারণে’ তিনি এখন ফসল পোড়াতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, বাজারে বর্তমানে যে দামে পেঁয়াজ সরবরাহ করতে হচ্ছে তাতে তাকে নিজের পকেট থেকে টাকা দিতে হবে। তার ভাষায়, ‘রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভাবা উচিত।’ কৃষ্ণা ডোংরে দাবি করেছেন, রাজ্য সরকারের কেউ তার কাছে আসেনি। তার ভাষায়, ‘তাদের কাছে ১৫ দিন সময় ছিল এবং তারা কোনও সহানুভূতিও দেখায়নি। কেউ বলেনি যে- ‘এটা করো না, আমরা কৃষকদের জন্য কিছু করব’। এই কথাটি কেউ বলতেও আসেনি।’ ডোংরে বলেন, তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে নিজের রক্ত দিয়ে একটি চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে পেঁয়াজ পোড়ানোর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয় যাতে তিনি নিজেই কৃষকদের প্রকৃত অবস্থা দেখতে পারেন। এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।