লিভারপুল-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচে তখন শেষের বাশি বেজেছে।এনফিল্ডের ডিজিটাল স্কোরকার্ডে ঝলঝল করে ভেসে উঠল ফলাফল।লিভারপুল ৭-০ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড!
অবিশ্বাস্য,খ্যাপাটে,বিরলও বটে।গত মৌসুমের লিভারপুলের সঙ্গে দুইবারের দেখাতেই বড় ব্যবধানে হেরেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।একবার ৪-০, অন্যটিতে ৫-০। রেড ডেভিলসদের হয়তো ধারণাতেই ছিলনা চলতি মৌসুমে লিভারপুলের কাছ থেকে এর থেকেও বড় লজ্জা উপহার পেতে যেতে যাচ্ছে তারা।
এদিন ঘরের মাঠে ইউনাইটেডকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলাই মেতেছিলেন সালাহ-নুনেজরা।গোল করেছেন,করিয়েছেন খেয়াল খুশিমতো।শেষদিকে খেলা দেখতে আসা উচ্ছ্বসিত লিভারপুল সমর্থকরা চিৎকার করে 'পাচ,ছয়, সাতের' আবদার করে যাচ্ছিলেন।আর সেটি অনায়াসে পূরণ করে যাচ্ছিলেনন লিভারপুল খেলোয়াড়েরা।
এটিই প্রিমিয়ার লীগে ইউনাইটেডের সবচেয়ে বড় হারের রেকর্ড।অথচ সাম্প্রতিক ফর্ম বিচারে এমন কিছুর প্রত্যাশা হয়তো লিভারপুলের পাড় ভক্তও করেন নি।লিভারপুল লীগে অনেকটা নড়বড়ে অবস্থানে থেকে মাঠে নেমেছিল,অন্যদিকে শেষ ২০ ম্যাচে একবার হারের মুখ দেখা ইউনাইটেড আছে শিরোপার দৌড়ে।
ম্যাচের প্রথম ৪০ মিনিটেও মেলেনি এমন ঝড়ের আভাস।এই সময়টাতে বল দখলে এগিয়ে থাকলেও ম্যনইউ গোলমুখে কোন শট নিতে পারেনি লিভারপুল।তবে ৪৩ মিনিটে কোডি গাকপোর করা গোলে বদলে যায় দৃশ্যপট।
১-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করা লিভারপুল বিরতির পর ছিল অপ্রতিরোধ্য। এ সময় স্বাগতিকদের আক্রমণে সামনে দাড়াতেই পারেনি ইউনাইটেড।দ্বিতীয়ার্ধে তারা করেছে আরও ৬ গোল। গাকপো জোড়া গোল পেয়েছেন, জোড়া গোল করেছেন দারউইন নুনিয়েজ ও মোহাম্মদ সালাহ। ইউনাইটেডের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুঁকেছেন রবার্তো ফিরমিনো। এই জয়ে শীর্ষ চারে থেকে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করার আশাটা বেঁচে থাকল লিভারপুলের।
অসাধারণ এই জয়ের পর ২৫ ম্যাচে ১২ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে উঠেছে লিভারপুল। ২৬ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে লীগ টেবিলের শীর্ষে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে ৫ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি।তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয়।