Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জোকোভিচকে খেলাতে বাইডেনের দ্বারস্থ!

স্পোর্টস ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২৩, ১২:০১ এএম

সবশেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সময় ফিরে আসা পায়ের চোটে কাবু টেনিস তারকা রাফায়েল নাদাল। সামনে ফ্রেঞ্চ ওপেনের আগে কোন ধরনের ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না এই স্প্যানিশ তারকা। তাইতো নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন টেনিসের অন্য আসরগুলো থেকে। ইতিমধ্যেই মায়ামি মাস্টার্স ও ইন্ডিয়ানা ওয়েলস আসর থেকে আগেই নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন পুরুষ টেনিসে প্রথম ২২ গ্র্যান্ড সø্যামের রেকর্ড ছোঁয়া এই স্প্যানিশ। তবে ২২ গ্র্যান্ড সø্যামের আরেক মালিক নোভাক জোকোভিচও যদি না খেলেন, তাহলে আকর্ষণই হারিয়ে ফেলবে টুর্নামেন্ট দুটি! ব্যপারটা মাথায় রেখেই মাস্টার্স সিরিজ দুটিতে সার্বিয়ান তারকাকে খেলাতে উঠে পড়ে লেগেছেন আয়োজকরা। স্মরণ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরও।

যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী দেশটির নাগরিক ও অভিবাসী ছাড়া অন্য কেউ করোনার প্রতিষেধক টিকার সনদ না দেখিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করতে পারে না। ঠিক এই কারণেই ব্যক্তিস্বাধীনতায় বিশ্বাসী জোকোভিচের খেলা হয়নি গত ইউএস ওপেনে। এই নিয়ম শিথিল না করলে আগামীতেও দেশটিতে টুর্নামেন্ট খেলা হবে না সার্বিয়ান তারকার। কিন্তু তা হতে দিতে চান না ইন্ডিয়ানা ওয়েলস ও মায়ামি মাস্টার্সের আয়োজকরা। জোকোভিচকে খেলার সুযোগ দিতে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন তারা। তাতে সাড়া না মেলায় এবার স্মরণ নিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের।

আয়োজকদের হয়ে লবিংয়ে নামা ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সিনেটর রিক স্কট এক চিঠি দিয়েছেন জো বাইডেনকে, যেখানে টুর্নামেন্ট দুটিতে টেনিসের নাম্বার ওয়ান এবং র‌্যাঙ্কিংয়ের একশর মধ্যে থাকা ছেলে-মেয়েদের খেলার সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্টের সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে। সে আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন ফ্লোরিডার আরেক সিনেটর মার্কো রুবিও। আগামী পরশু থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত হবে ইন্ডিয়ানা ওয়েলস এবং ২২ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল মায়ামি মাস্টার্স। টুর্নামেন্ট দুটিতে সর্বোচ্চ সপ্তাহ শীর্ষে থাকা জোকোভিচের খেলা হবে কি না তা সময়ই বলবে।

এদিকে নাম প্রত্যাহার করায় এখন বড় এক পতন নিশ্চিত হয়ে গেছে নাদালের। শুধু ইন্ডিয়ান ওয়েলসে না খেলাতেই এই মার্চে ১৮ বছরের মধ্যে প্রথম র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশের বাইরে চলে যাবেন এই স্প্যানিয়ার্ড। ২০০৫ সালের ২৫ এপ্রিল প্রথম র‌্যাঙ্কিংয়ের ১০ উঠে এসেছিলেন নাদাল। এরপর আর কখনোই দশের বাইরে যাননি। বর্তমান এটিপি র‌্যাঙ্কিংয়ে নাদালের অবস্থান ৯। আগামী ৬ ও ১৩ মার্চ নতুন যে র‌্যাঙ্কিং দেবে এটিপি, সেখানেও সেরা দশেই থাকবেন নাদাল। কিন্তু তার পরের সপ্তাহে ২০ মার্চ প্রকাশিতব্য র‌্যাঙ্কিংয়ে কম করে হলেও ১১ নম্বরে নেমে যাবেন ইন্ডিয়ানা ওয়েলসের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন। টেনিসে টানা ৯১২ সপ্তাহ এটিপি র‌্যাঙ্কিংয়ের সেরা দশে থেকে ইতিমধ্যেই এক অনন্য রেকর্ডের মালিক হয়ে আছেন নাদাল। দ্বিতীয় স্থানে থাকা জিমি কনর্স ছিলেন ৭৮৯ সপ্তাহ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ