Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনে সংস্কার, প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা হবে আরো দৃঢ়

সাড়ে ২২ হাজার কোটি ডলার সামরিক বাজেট চীনের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ মার্চ, ২০২৩, ১২:০১ এএম

এ সপ্তাহেই বেইজিংয়ে সুদূরপ্রসারী সংস্কার লক্ষ্যকে সামনে রেখে আইনপ্রণেতারা মিটিংয়ে মিলিত হচ্ছেন। সেখানে চীন সরকার এবং অর্থনীতির ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ আরও গভীর করবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসকে (এনপিসি) দেখা হয় সেখানকার রাবার-স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট হিসেবে। এই অধিবেশনেই প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে তৃতীয় মেয়াদে নিশ্চিত করা হবে এবং তার সরকার পরিচালনায় শীর্ষ পদগুলোতে নিয়োগ নিশ্চিত করা হবে। এই অধিবেশনে নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। তিনি হবেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সেকেন্ড ইন কমান্ড। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাবেন লি কেকিয়াং। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এই মিটিং হবে দুই সেশনে। এটি বার্ষিক অধিবেশন। কিন্তু এ বছরের অধিবেশন বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। কারণ, কমিউনিস্ট পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো নতুন করে সাজাবেন ডেলিগেটরা। আর্থিক খাত, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মকাণ্ড তদারকির পরিষদগুলোতে এর মধ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রণ কঠোর করা হবে। এর ফলে চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টি এবং সরকারের মধ্যে যে ব্যবধান আছে তা অনেকটাই মুছে যাবে। বেসরকারি খাতগুলোর ওপর দলীয় নিয়ন্ত্রণ সংহত হবে। দেশটিতে চলমান দুর্নীতি বিরোধী দমনপীড়নের মধ্যে এসব করা হচ্ছে, এর ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উচ্চ পর্যায়ের অনেক ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছেন। সর্বশেষ নিখোঁজ হয়েছেন চীনের প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ একজন ‘ডিলমেকার’। অপর এক খবরে বলা হয়, ২০২৩ সালের জন্য ৫ শতাঙ্ক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে চীন। মহামারী বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার পর এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি নিজেদের পুনরুদ্ধার করতে চায়। পাশাপাশি বাড়িয়েছে সামরিক বাজেটও। রোববার চীনের আইনসভা এনপিসিতে বার্ষিক সমাবেশ শুরু হয়েছে। বেইজিংয়ের গ্রেট হলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত রয়েছেন ৩ হাজার প্রতিনিধি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং চলতি বছরের জন্য অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। তিনি জানান, চীন অর্থনৈতিক গতি পুনরুদ্ধারে কাজ করছেন। শহর এলাকায় নতুন এক কোটি ২০ লাখ চাকরি যোগ হয়েছে। শহরে বেকারত্বের হার হ্রাস পেয়ে ৫ দশমিক ৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এনপিসি উদ্বোধনের পাশাপাশি প্রকাশিত একটি খসড়া বাজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ৭ দশমিক ২ শতাঙ্ক বৃদ্ধি পেয়ে সামরিক খাতে ব্যয় করা হবে ২২ হাজার ৪০০ কোটি ডলার। সাম্প্রতিক বছরে চীন সামগ্রিক খাতে ব্যয় বাড়ালেও এই হার দুই অঙ্কের ঘর ছাড়ায়নি। ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা ও আঞ্চলিক অস্ত্র প্রতিযোগিতার মাঝে গত বছর চীন খরচ বাড়িয়েছিল ৭ দশমিক ১ শতাঙ্ক। ২০২২ সালে চীনের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩ শতাঙ্ক। সরকারি লক্ষ্যমাত্রা ৫ দশমিক ৫ শতাঙ্ক থাকলেও দীর্ঘায়িত কভিড বিধিনিষেধে তা প্রভাবিত হয়। যা ছিল ১৯৭৬ সালের পর থেকে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন বার্ষিক প্রবৃদ্ধি। এর আগে রয়েছে ২০২০ সাল, যখন প্রাথমিক কভিডের প্রাদুর্ভাব অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেয়। কভিড বিধি নিয়ে গত বছরের শেষ দিকে চীনে নজিরবিহীন বিক্ষোভ দেখা দেয়। এরপর ডিসেম্বরে হঠাৎ করে শূন্য-কোভিড নীতি হতে সরে আসে। তাৎক্ষণিক বিশৃঙ্খলা তৈরি হলেও গত জানুয়ারি থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি ফিরে এসেছে। গত ১ মার্চ প্রকাশিত সরকারি তথ্য অনুসারে, প্রায় ১১ বছরের মধ্যে সেরা মাস ছিল ফেব্রুয়ারি। পরিষেবা ও নির্মাণ খাতে পারফরম্যান্স ছিল দুই বছরের মধ্যে সেরা। বিবিসি, সিএনএন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ