নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নারী নির্যাতন ও যৌতুক দাবির অভিযোগে জাতীয় দলের ক্রিকেটার আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তার সাবেক স্ত্রী ইশরাত জাহান। সেই মামলায় আল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই মামলার বিচার কাজ শুরু হলো।
আজ রোববার (৫ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীনের আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন আল আমিন আদালতে উপস্থিত হয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। সাক্ষীর জন্য আগামী ৯ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন।
আল আমিনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছিলেন তার স্ত্রী। সবশেষ গত বছরের ১৬ নভেম্বর ঢাকার প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ বেগম কানিজ তানিয়া রূপার আদালতে দাম্পত্য অধিকার ফিরে পেতে মামলা দায়ের করেন ইসরাত। তার আগে ১ সেপ্টেম্বর আল আমিনের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে ভিন্ন দুটি ধারায় মামলা করেছিলেন ইসরাত। ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিনের আদালতে একই অভিযোগে আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি।
আদালত মামলা আমলে নিয়ে তাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। আদেশ মেনে ২৭ সেপ্টেম্বর আল আমিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফিউদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন। সেদিন শুনানি শেষে বিচারক পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় তার জামিন মঞ্জুর করেছিলেন।
স্ত্রীর অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন আল আমিন। সবশেষ গত ৯ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে স্ত্রীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন তিনি। দাবি করেন পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে ক্যারিয়ার ধ্বংস করাই ছিল তার স্ত্রীর উদ্দেশ্য।
এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আল আমিন বলেন, ‘আমি ঘরোয়া ও জাতীয় ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত থাকি। বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতে হয়। আর আমার স্ত্রী মা-বাবার সঙ্গে থাকে। সে মাঝরাতে দরজা বন্ধ করে পরপুরুষের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে। এনিয়ে অনেকবার ঝগড়া হওয়ায় বেশ কয়েকটি ফোনও ভেঙে ফেলা হয়েছে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।