বিশ্বের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরস্পরের মধ্যে বিভাজনের ইস্যুতে দেশগুলোকে অভিন্ন পথ খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভারতের জি২০ সম্মেলনের প্রথম দিনে তিনি এই আহ্বান জানান।
আল-জাজিরার জানিয়েছে, জি২০ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সম্মেলনের প্রথম বৈঠকে মোদী বলেন, “বিশ্বে বহুপাক্ষিকতা যে ক্রান্তিকাল পার করছে, বিশ্বের দেশগুলোর তা স্বীকার করা উচিত। আর্থিক সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, মহামারী, সন্ত্রাসবাদ এবং যুদ্ধ নিয়ে গত কয়েক বছরের অভিজ্ঞতা বলছে, বৈশ্বিক সমস্যাগুলো মোকাবিলায় সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহ ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের এমন সমস্যাগুলোকে সুযোগ দেওয়া উচিত নয়, যা আমরা একসঙ্গে সমাধান করতে পারি না।”
ইউক্রেইন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা বিশ্বের দ্বৈরথের মধ্যে ভারত এবারের জি২০ এর সভাপতিত্ব করছে। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জি২০ এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়, যেখানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সঙ্গে রাশিয়ার টানাপোড়েনের মধ্যে ওই বৈঠক মস্কোর সঙ্গে দিল্লির দীর্ঘদিনের নিরাপত্তা সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ভারত রাশিয়ার অস্ত্র ও জ্বালানির শক্তির প্রধান ক্রেতা। ইউক্রেইনে রুশ বাহিনীর আক্রমণের সরাসরি নিন্দাও তারা করেনি।
বুধবার ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলছিলেন, ইউক্রেইন যুদ্ধ বৈঠকে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গ্লোবাল সাউথ বা এশিয়া, আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলকে প্রভাবিত করতে পারে এমন দারিদ্র্য দূরীকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো ইস্যুগুলোতেও আলোচনা চালাতে আগ্রহী দিল্লি।
ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা তাদের আগের অবস্থানই পুনর্ব্যক্ত করে বলছেন, তারা ইউক্রেইন সংঘাতের পেছনে রাশিয়াকেই দায়ী করবেন। জার্মানি বলছে, রাশিয়ার ‘প্রপাগান্ডা’ মোকাবেলায় দিল্লির বৈঠককেই কাজে লাগাবে তারা।