মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ডলফিনের সংখ্যা যে তলে তলে বেড়ে গেয়েছে তা বুঝতেই পারেনি পশ্চিমবঙ্গের বন দফতর। এ স্তন্যপায়ী জলজ প্রাণী বেড়ে যাওয়ার খবর এবার প্রকাশ্যে এসেছে। পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গায় সেই ডলফিনেরই সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ডলফিন গণনায় সেই তথ্য হাতে পেয়েছে বন দফতর। ফারাক্কা থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত গঙ্গায় ডলফিন গণনা হয়েছে। তাতেই হদিশ মিলেছে ৬৫০টি ডলফিনের। এবার ডলফিনের সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে বন দফতর। ডলফিন হত্যা রুখতেও চলছে সচেতনতামূলক প্রচার।
কী তথ্য পেয়েছে বনদফতর? বনদফতর সূত্রে খবর, কয়েক বছর আগে একবার ডলফিন গণনা হয়েছিল। তখন পূর্ণাঙ্গ গণনা হয়নি বলে সংখ্যা সঠিকভাবে জানা যায়নি। স¤প্রতি কেন্দ্রের ওয়াইল্ড লাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া বন দফতরের সহায়তায় বাংলার গঙ্গায় টানা চার সপ্তাহ ধরে গণনা চলে। তখন রাজ্যে ডলফিনের বেশ কয়েকটি হটস্পট চিহ্নিত করা হয়। যেখানে প্রচুর সংখ্যায় ডলফিন রয়েছে। হাওড়ায় গঙ্গা এবং রূপনারায়ণের সঙ্গমে খোঁজ মিলেছে প্রচুর ডলফিনের।
কেমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে? সংখ্যা বাড়ার খবরে এবার আরো বেশি করে ডলফিন সংরক্ষণ করতে চায় বনদফতর। এ প্রাণী থাকে গঙ্গায়। বনদফতর মনে করছে, বাঘ, হাতির মতো ডলফিনের বাসস্থান খুব সুরক্ষিত নয়। কারণ, তারা অক্সিজেন নিতে ডলফিনকে পানি থেকে মুখ তুলতেই হয়। তখন তারা চিহ্নিত হয়ে যায়। একাধিকবার দেখা গেছে, মৎস্যজীবীদের জালে আটকে পড়েছে ডলফিন। আবার অনেকে মাছ ভেবে ডলফিনকে হত্যাও করেছে। তাই ডলফিনদের বাসস্থানকে সুরক্ষিত করা দরকার। আর প্রয়োজন মানুষের মধ্যে সচেতনতা। যাতে ডলফিনরা নিরাপদে গঙ্গায় থাকতে পারে। নিরাপদে থাকলেই ডলফিনের সংখ্যাও বাড়বে।
ঠিক কী বক্তব্য বন দফতরের? এ বিষয়ে সংরক্ষণ এবং উদ্যোগ বেশি করে করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বনদফতরের প্রধান মুখ্য বন্যপাল (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় বলেন, ‘ডলফিন গণনায় যে সংখ্যা উঠে আসে, সেটি ন্যূনতম সংখ্যা হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ, ৬৫০টির দেখা মিললেও বাস্তবে তার চেয়ে বেশি রয়েছে। তাই এ সংখ্যা যথেষ্ট আনন্দের। ডলফিন বন্যপ্রাণ আইনের সিডিউল ১-এ রয়েছে। গঙ্গায় ডলফিনের সংরক্ষণ নিয়ে আমরা সবরকম ব্যবস্থা নিচ্ছি। চলছে সচেতনতার প্রচারও’। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।