নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
লক্ষ্যটা খুবই ছোট ছিল, তৃতীয় টেস্ট জিততে দরকার ছিল মাত্র ৭৬ রানের। তবু কী স্বস্তিতে ছিল অস্ট্রেলিয়া? ইন্দোর টেস্টের প্রথম দুই দিনের খেলা দেখলে যে কাউকে মানতে বাধ্য হতে যে দুই অংকের ছোট্ট টার্গেটও এই পিচে রোমাঞ্চের জন্ম দিতে পারে। স্পিন ইন্দ্রজালে দুই দলের যে প্রথম দুই দিনেই তিনবার অলআউট হয়েছে। গতকাল অস্ট্রেলিয়ার জন্য দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে যখন স্কোরবোর্ডে কোনো রান ওঠার আগেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উসমান খাজা। খাজা ফিরলেও অন্য ওপেনার ট্রাভিস হেডের প্রতি-আক্রমণে সে অসম্ভব চিত্রনাট্য আর লেখা হয়নি ভারতের। দারুন সঙ্গ দেন মার্নাস লাবুশেনও। আর তাতে দাপুটে ৯ উইকেটের জয়ে সিরিজ ড্র করার সম্ভাবনা জাগিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পা রেখেছে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া।
খাজাকে আউট করে অবিশ্বাস্য কিছু করার স্বপ্নও হয়ত দেখছিল ভারত। কিন্তু এরপরই সাবলীল মেজাজে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যান হেড। সঙ্গে লাবুশেনের জুটি আর ভাঙতে পারেনি রোহিত শর্মার দল। ওপেন করতে নামা বাঁহাতি হেড ছিলেন আগ্রাসী। রয়েসয়ে না খেলে দ্রুতই ডানা মেলেন তিনি, জোর দেন বাউন্ডারির উপর। ৪৯ রানের ইনিংসে ৬ চার, ১ ছক্কা মেরেছেন তিনি। লাবুশানেও ধীর গতিতে খেললেও তিনিও ছিলেন বাউন্ডারির তালে। ২৮ রানের ইনিংসে চার মেরেছেন ছয়টি। জয়ের জন্য সফরকারীদের খেলতে হয়েছে মাত্র ১৮.৩ ওভার। যদিও দ্বিতীয় দিনেই জেতার রাস্তা অনেকটা পরিষ্কার করে ফেলে অস্ট্রেলিয়া। ৮৮ রানের লিড নিয়ে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসও চেপে ধরেন ন্যাথান লায়ন। তার ৬৪ রানে ৮ উইকেটে ১৬৩ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত। চেতশ্বর পূজারা (৫৯) ছাড়া কেউই থিতু হতে পারেনি।
এর আগে টস জিতে প্রথম ইনিংসেও অজি স্পিনে কাবু হয় স্বাগতিকরা। ম্যাথু কুহেনম্যান বাঁহাতি স্পিনে ১৬ রানেই পান ৫ উইকেট। লায়ন ৩৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে মাত্র ১০৯ রানে শেষ হয়ে যায় রোহিতদের প্রথম ইনিংস। জবাবে খাজার ফিফটিতে ১৯৭ রান করে ৮৮ রানের বড় লিড পেয়ে ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে যায় স্টিভেন স্মিথের। দল। পিছিয়ে পড়া অবস্থা থেকে আর ফিরতে পারেনি ভারত। এই ম্যাচ জেতায় টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও জায়গা পাকা হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট শুরু হবে ৯ মার্চ আহমেদাবাদে। ফাইনালে খেলতে হলে ঐ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই ভারতের সামনে। কেননা তাদের গলার কাঁটা হয়ে মাথার উপর দাঁড়িয়ে যে শ্রীলঙ্কা! ভারত হারলেই ৭ জুন শুরু হওয়া লর্ডসের ফাইনালে যে খেলবে দ্বীপ দেশটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।