মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ভারত হয়ে পাচার হচ্ছে মিয়ানামারের বিলাসবহুল সেগুন কাঠ, চিনের পর ভারত হয়ে উঠছে অন্যতম ‘লিকেজ কান্ট্রি’ ! মিয়ানামারের ঘন জঙ্গল থেকে ইউরোপ-আমেরিকার বাজারে ‘সেগুন কাঠ’ পাচারের অন্যতম দেশ হয়ে উঠেছে ভারত। সেগুন কাঠ, আসবাবপত্র এবং ‘বিলাসবহুল ইয়টের’ জন্য অতি মূল্যবান। মিয়ানামার থেকে ফাঁস হওয়া কাস্টমস ডেটা অনুসারে জানা গিয়েছে মিয়ানামার থেকে ভারত হয়ে মূল্যবান সেগুন কাঠ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে রমরমিয়ে পাচার হচ্ছে। ভারত হয়ে উঠেছে অন্যতম ‘লিকেজ কান্ট্রি’ ! মিয়ানমারে ২০২১ সালের ‘সামরিক অভ্যুত্থানের’ পর থেকেই কাঠের ব্যবসার ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। খাতায় কলমে সেই নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রেকর্ড অনুসারে দেখা যায়, সেগুন কাঠ পাচারের ভারত হয়ে উঠেছে অন্যতম ‘লিকেজ কান্ট্রি। গ্লোবাল ওয়াচডগ ফরেস্ট ওয়াচের তথ্য অনুসারে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল ২০২২ এর মধ্যে, ভারতীয় সংস্থাগুলো ১০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের সেগুন আমদানি করেছে। যা মোট সেগুন কাঠ রফতনির প্রায় এক চতুর্থাংশ । দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস যখন নাগপুরের একাধিক সংস্থা ঘুরে দেখে তখন দেখা যায় সেখানে তানজানিয়া এবং মিয়ানমার থেকে আসা সেগুন কাঠের বিশাল সম্ভার মজুত ছিল। কোম্পানির ডিরেক্টর সমীর জয়সওয়াল এবং পুনীত কোহলি স্বীকার করেছেন যে ৮০ হাজার মেট্রিক টন সেগুন কাঠ সেখানে মজুত রয়েছে, যা তাদের বর্তমান স্টকের ৬০% বেশি, সেগুলি সবই মিয়ানামার থেকে আমদানি করা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা তাঁকে দিতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বেশ কয়েক হাজার মেট্রিক টন সেগুন কাঠ ২০২১ সালের আগেই মিয়ানামার থেকে আনা হয়েছে। বেশ কিছু কোম্পানি (কমিলিগ্নো সহ) মিয়ানামারের সেগুনের অবৈধ আমদানির অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। তবে এই সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই বিদেশের বাজারে পৌঁছে যাচ্ছে বহুমূল্যের এই সেগুন কাঠ। ইয়াঙ্গুনে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সেগুন ব্যবসায়ীদের অবস্থা শোচনীয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক সময় দেশের ‘শীর্ষ’ উৎপাদনকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছে ৬০-৭০টি সেগুন কারখানা এবং করাতকল বন্ধ হয়ে গেছে। এক সেগুন কাঠ ব্যবসায়ী বলেন, এখন বেশিরভাগ সেগুনকাঠ থার্ড পার্টির মাধ্যমে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বিদেশে রফতনি করছে এবং প্রচুর সেগুন রয়েছে যা অবৈধভাবে চীন ও ভারতের সীমান্ত পেরিয়ে পাচার করা হচ্ছে। এ পাচার মূলত হয় নাগাল্যান্ড, মিজোরাম এবং আসাম সীমান্তে। সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।