দূর থেকে নজরদারিতে সক্ষম এমন একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছে চীন। বেইজিং সময় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হোরাস ১ নামের এই স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে দেশটি।
দেশটির গোবি মরুভূমিস্থ জিকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে একটি লং মার্চ ২সি রকেট ওই দিন দুপুর ১২টা ১ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়। হোরাস ১ কে বহন করে কক্ষপথে নিয়ে যাওয়ার আগে রকেটটি আকাশে উঠার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরোধক টাইলসগুলি খুলে পড়ে।
এদিকে উৎক্ষেপণের এক ঘণ্টার মধ্যে চীনের প্রধান স্পেস কন্ট্রাক্টর চায়না অ্যারোস্পেস সাইয়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি করপোরেশন (সিএএসসি) ঘোষণা করে যে, স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। এই হোরাস ১ স্যাটেলাইট অনেক উপর থেকে তথ্য সংরক্ষণ করতে সক্ষম। আর এই স্যাটেলাইট তৈরি করেছে সিএএসসির চায়না অ্যাকাডেমি অব স্পেস টেকনোলজি। তবে এসবের বাইরে কোনো তথ্য সিএএসসি বা চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করেনি।
জিকুয়ান মিশনের একটি কন্ট্রোল স্ক্রিনে ঘোষণা করা হয়, উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। তবে প্রাথমিক ইঙ্গিত থেকে ধারণ, স্যাটেলাইটটি সম্ভবত মিসরের জন্য উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। কারণ উৎক্ষেপণের পরদিন মিসরীয় সংবাদমাধ্যমে দেশটির স্পেস সংস্থার প্রধানের বক্তব্যসহ একটি প্রতিবেদন প্রচার হয়। ওই প্রতিবেদনে এ ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও মহাকাশ উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষক জোনাথন ম্যাকডোয়েল উল্লেখ করেছেন, অনেক আগেই মিসর দূর থেকে নরজরদারি করা যায় এমন স্যাটেলাইটের জন্য সিএএসসির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সম্প্রতি দেশ দুটি তাদের স্পেস সম্পর্কিত সহযোগিতা জোরদার করেছে।
চীনা স্থানীয় দিনপঞ্জিকা অনুযায়ী, চলতি ২০২৩ সালে চীন ৬০টি উৎক্ষেপণের মাধ্যমে অন্তত ২০০ মহাকাশ যান মহাকাশে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। সূত্র : স্পেস ডটকম