Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

তাইওয়ানে অস্ত্র বেচবে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টা যে পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন

আধুনিক জে-১৬ স্ট্রাইক ফাইটারগুলো তাইওয়ানের উত্তর-পূর্ব দিকে ওড়ে

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২৩, ১২:০০ এএম

তাইওয়ানে ৬১৯ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরিপ্রেক্ষিতে চীন ১৭টি চীনা জে-১০ যুদ্ধবিমান এবং চারটি শেনিয়াং জে-১৬ ফাইটার বৃহস্পতিবার তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করিয়েছে। এর আগে বুধবার দিনব্যাপী ১৯টি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। খবর সিএনএনের। বুধবার রাতে স্টেট ডিপার্টমেন্ট বিবৃতিতে জানায়, তাইওয়ানে এফ ১৬-এর ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলোকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য সরঞ্জামও দেওয়া হবে। এসবের মধ্যে রয়েছে এজিএম-৮৮ অ্যান্টি-রেডিয়েশন মিসাইল, এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল ও লঞ্চার। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, তাইওয়ানের বিমান প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ অঞ্চলের (এডিআইজে) দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে বৃহস্পতিবার ২১টি চীনা যুদ্ধবিমান উড়েছে। এগুলোর মধ্যে ছিল, ১৭ চেংডু জে-১০ মাল্টিরোল ফাইটার এবং ৪টি শেনইয়াং জে-১৬ স্ট্রাইক ফাইটার। মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ঘটনার মানচিত্র অনুযায়ী, দুই দশকের আগের জে-১০ বিমানগুলো চীনা উপকূলের কাছাকাছি উড়েছিল। আর আধুনিক জে-১৬ স্ট্রাইক ফাইটারগুলো তাইওয়ানের উত্তর-পূর্ব দিকের একটি এলাকায় ওড়ে। তাইওয়ানের সশস্ত্র বাহিনী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ, এবং ভূমিভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে এই কার্যকলাপের প্রতিক্রিয়া জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষয় সব চীন কোনো কিছু জানাননি। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত মানচিত্রে দেখা গেছে, যুদ্ধবিমানগুলো তাইওয়ানের চেয়ে চীনা উপকূলের বেশি কাছাকাছি ছিল। যুদ্ধবিমানগুলো তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করলেও তাইওয়ান প্রণালির সংবেদনশীল মধ্যরেখা অতিক্রম করেনি। এই রেখাকে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সীমানারেখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। স্বশাসিত দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ানকে নিজেদের বিচ্ছিন্নতাবাদী ভূখ- হিসেবে মনে করে চীন। গত কয়েক বছর ধরে সঙ্গে ‘এক চীননীতি’ বাদ দিয়ে তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক ও সামরিক সম্পর্ক গড়ে তুলছে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টি নিয়ে চীন-মার্কিন উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাইওয়ান ঘিরে নিয়মিত সামরিক মহড়া চালাচ্ছে বেইজিং। তাইওয়ানের দাবি, দ্বীপটি দখলের মহড়া দিচ্ছে চীনের সেনাবাহিনী। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত মানচিত্রে দেখা গেছে, যুদ্ধবিমানগুলো তাইওয়ানের চেয়ে চীনা উপকূলের বেশি কাছাকাছি ছিল। যুদ্ধবিমানগুলো তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে প্রবেশ করলেও তাইওয়ান প্রণালীর সংবেদনশীল মধ্যরেখা অতিক্রম করেনি। এই রেখাকে চীন ও তাইওয়ানের মধ্যে সীমানা রেখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর আগেও মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফরে গেলে এই সীমানা রেখাকেও অতিক্রম করে তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে সামরিক মহড়া চালিয়েছে চীন। সিএনএন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ