Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিয়েতে ৭২ কোটি রুপি উপহার

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২৩, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক সংকটকালেও পাকিস্তানে এক আমলার মেয়ের বিয়েতে উপহার হিসাবে দেওয়া হয়েছে ৭২ কোটি রুপিরও বেশি অর্থ। বিষয়টি জানিয়েছেন খোদ পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মোহাম্মদ আসিফ দাবি করেছেন, এক আমলার মেয়ের বিয়েতে উপহার হিসাবে জমা হয়েছে ৭২০ মিলিয়ন রুপি বা ২৮ লাখ ডলার। ২১ গ্রেডে কর্মরত ওই আমলার প্রথম মেয়ের বিয়েতে উপহার হিসাবে জমা হয়েছিল ১২০ কোটি রুপি বা ৪৬ লাখ ডলার। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন চলাকালে খাজা আসিফ বলেন, একজন আমাকে জানিয়েছেন-তিনি তার নির্বাচনি এলাকায় একজন আমলার মেয়ের বিয়েতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি এক ব্যক্তিকে বিয়ের উপহার সংগ্রহ করতে দেখেন। ওই ব্যক্তি উপহার সংগ্রহকারীকে কৌতুহলবশত জিজ্ঞাসা করেন-এখন পর্যস্ত কী পরিমাণ উপহার এসেছে। তিনি উত্তরে বলেন, আমি ৭২ কোটি পর্যন্ত গুনেছি। আরও আসছে। ওই আমলার আগের মেয়ের বিয়েতে স্বর্ণালঙ্কার ও গাড়ির মতো উপহার বাদ দিয়েও ১২০ কোটি রুপি উপহার এসেছিল। খাজা আসিফ বলেন, অর্থের এত আনাগোনা থাকা সত্ত্বেও কেউ ওই আমলাকে তার বেতনের স্কেল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেনি। এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

 



 

Show all comments
  • স্বপন কুমার দেব ৩ মার্চ, ২০২৩, ৯:৪০ এএম says : 0
    পাকিস্তানের বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্যে সামরিক ও বেসামরিক আমলাদের আঁতাত দায়ি। এখানেতো মাত্র ছোট্ট একটি উদাহরণ দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল কয়ানি অষ্ট্রেলিয়াতে গোটা দ্বীপ কিনে রাজার হালে বসবাস করছেন। আরেক প্রাক্তন সেনাপ্রধান রাহেল শরীফ দুবাইতে প্রচুর সম্পত্তি কিনেছেন, প্রেসিডেন্ট ও সেনাপ্রধান জেনারেল মোশাররফে হাজার একরের খামারবাড়ি রয়েছে পাকিস্তানে এবং আমেরিকা ও দুবাইতে প্রচুর সম্পত্তি কিনেছেন, জেনারেল বাজওয়া তখনো সেনাপ্রধান হননি,এমনি লেঃ জেঃ পর্যন্ত হননি, মেজর জেনারেল থাকা অবস্থায় ইংল্যান্ডে পড়াশোনা করা রত ছেলের কাছে জিনিসপত্র পাঠাতে চার্টার্ড প্লেন পাঠিয়ে ছিলেন, বাওওয়া ৮০০০ কোটি রূপি অবৈধভাবে কামিয়ে দুবাইতে সম্পত্তি কিনে বর্তমানে সেখানে বসবাস করছেন। বাজওয়ার দূর্নীতি পাকিস্তানে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আইএমএফ ঋণ পাওয়ার শর্ত হিসেবে সকল সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তার সম্পদের হিসেব চাইলে পাকিস্তান সেটি দিতে অস্বীকার করায় আইএমএফ ঋণ আটকে দিয়েছে। বর্তমানে এক ডলা্র সমান ২৮৬ পাকিস্তানি রূপি! এইতো পাকিস্তানের বর্তমান অবস্থা। হাইপার ইনফ্লেশানের দোরগোড়ায় পাকিস্তান। মানচিত্রটি থাকবে কীনা - সেটিই সন্দেহ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ