Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শস্য উৎপাদনের লক্ষ্য নিশ্চিত করুন : কিম

পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রতি আরো কঠোর হচ্ছে উত্তর কোরিয়া

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০২৩, ১২:০০ এএম

উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন শস্য উৎপাদনের লক্ষ্য অবশ্যই পূরণের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ায় ভয়াবহ খাদ্য ঘাটতি চলছে, এ খবরের প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার দেশটির সরকারি সংবাদ মাধ্যম এ তথ্য প্রকাশ করে। বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ও পরামাণু শক্তি সম্পন্ন উত্তর কোরিয়া অব্যাহত অবরোধের আওতায় রয়েছে। দেশটি দীর্ঘ দিন ধরেই খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা করে আসছে। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা ‘কেসিএনএ’র খবরে বলা হয়েছে, ক্ষমতাসীন দলের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের শেষ দিনে বুধবার কিম ব্যর্থ না হয়ে চলতি বছরের শস্য উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্যে আন্তরিক আহ্বান জানান। খবরে আরো বলা হয়, কিম তার বক্তব্যে দেশজুড়ে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে শস্য খাতের দিকনির্দেশনার অস্থিরতা কাটিয়ে উঠার প্রতি মনোযোগ দেয়া এবং প্রতি হেক্টর জমিতে শস্য উৎপাদন বাড়ানোয় মনোনিবেশ করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। কিম সোমবার কৃষি উৎপাদনের মৌলিক পরিবর্তনের ডাক দেয়ার পর সর্বশেষ এ সংবাদটি প্রকাশ করা হলো। এদিকে দক্ষিণ কোরিয়ার পুনঃএকত্রীকরণ মন্ত্রণালয় বলেছে, উত্তর কোরিয়া থেকে গত মাসে অনাহারে মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অপর এক খবরে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রতি আরও কঠোর হচ্ছে। দেশটির সরকার বলেছে, সন্তানরা যদি পশ্চিমা চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠান দেখার প্রমাণ পায় তাহলে তাদের অভিভাবকরাও শাস্তির আওতায় আসবে। সন্তানদের পাঁচ বছরের কারাদ- এবং তাদের মা-বাবাকে ছয় মাসের জন্য শ্রমশিবিরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। অতীতে দেশটিতে সন্তানদের কাছ থেকে পশ্চিমা চলচ্চিত্রের কোনো ভিডিও পাওয়া গেলে তাদের অভিভাবকদের সতর্কবাণী দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হতো। যাই হোক, এবার যেসব অভিভাবকদের সন্তানরা পশ্চিমা সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসছে তাদের প্রতি কোনো নম্রতা দেখানো হবে না। সমাজতান্ত্রিক আদর্শে তাদের সন্তানদের ‘সঠিকভাবে’ শিক্ষিত করার জন্য তাদের ওপর চাপও রয়েছে। একটি বেনামি সূত্রের বরাত দিয়ে রেডিও ফ্রি এশিয়া বলেছে, অভিভাবকদের তাদের সাপ্তাহিক ‘ইনমিনবান’ মিটিংয়ে কঠোর সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। ইনমিনবান নেটওয়ার্ক ১৯৬০-এর দশকের শেষের দিকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি দেশটির সামজিক সংগঠন। একেকটি ইনমিনবান ২৫ থেকে ৫০টি পরিবার নিয়ে গঠিত। সূত্রটি আরও বলেছে, ‘শিশুদের শিক্ষা ঘরে থেকেই যেন শুরু হয় বিষয়টি দেখাশুনা করার জন্য পিতামাতার দায়িত্বের ওপর জোর দিয়েছে সভার আয়োজক। যদি পিতামাতারা তাদের সন্তানদের সবসময় দেখভাল না করেন, তাহলে তারা পশ্চিমা সংস্কৃতির ধারায় নাচ-গান করবে এবং সমাজবিরোধী হয়ে উঠবে।’ কোনো সন্তান যদি দক্ষিণ কোরিয়ার রীতিনীতি অনুসরণ করে তবে তাদের পিতামাতার ছয় মাসের সাজা হতে পারে। অন্য দেশের মূল্যবোধ ও রীতিনীতি উত্তর কোরিয়ার অল্পবয়সি নাগরিকদের কাছে প্রকাশ পাচ্ছে। ভিন্ন সংস্কৃতিতে তারা অভ্যস্ত হয়ে যেতে পারে- এই ভয় থেকে দেশটি এ ধরনের কঠোর নীতি অবলম্বন করছে। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ