মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অগ্নিকাণ্ডের কারণে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় লাতিন আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনার অর্ধেকেরও বেশি এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে। আকস্মিক এই ঘটনার জেরে রাজধানী বুয়েনস আইরেস, অন্যান্য বড় শহর এবং গ্রামাঞ্চলের বড় অংশ সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়েছে। -বিবিসি
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা এই আগুন প্রথমে খোলা মাঠে শুরু হয় বলে শোনা যাচ্ছে। পরে তা ছড়িয়ে পড়লে উপকূলীয় অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইনগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে অফলাইনে নিয়ে যায়।
ব্ল্যাকআউটের এই ঘটনা এমন এক সময় হলো যখন আর্জেন্টিনায় তাপপ্রবাহ এবং খরা চলছে। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটিতে এখনও গ্রীষ্মের মাস চলছে। এতে করে দেশটির কিছু অংশে তাপমাত্রা ধারাবাহিকভাবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরেই রয়েছে। বিবিসি বলছে, বিদ্যুতের এই বিভ্রাটের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি আর্জেন্টিনার কিছু অঞ্চলে দৈনন্দিন জীবনকে স্থবির করে দিয়েছে। সেসব অঞ্চলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস স্থগিত রয়েছে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। অনেককে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ বা রেফ্রিজারেশন ছাড়াই কাজ বা সময় পার করতে হচ্ছে।
ব্রিটিশ এই সংবাদমাধ্যমটি বলছে, জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে অগ্নিকাণ্ডের জেরে সৃষ্ট এই ব্ল্যাকআউটে আর্জেন্টিনার প্রধান শহরগুলোই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া রাজধানী বুয়েনস আইরেস মেট্রোপলিটন এলাকায় আনুমানিক দেড় লাখ মানুষ এখনও বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছেন। আর্জেন্টিনার জ্বালানি মন্ত্রণালয় বলেছে, শিগগিরই বিদ্যুৎ সেবা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে বলে তারা আত্মবিশ্বাসী।
বিবিসি বলছে, আর্জেন্টিনায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়া অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়। এর আগে ২০১৯ সালে ব্যাপক ব্ল্যাকআউটের জেরে আর্জেন্টিনার পাশাপাশি প্রতিবেশী উরুগুয়ের কয়েক মিলিয়ন মানুষকে দুর্ভোগে পড়েছিল। এছাড়া ২০২০ সালে পৃথক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় বুয়েনস আইরেসে কয়েক হাজার বাড়ি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।